পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৩ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল থেকে ৩২টি ব্যাংকে পাওয়া যাচ্ছে নতুন এসব নোট। যে কেউ পুরোনো নোট দিয়ে ব্যাংক থেকে নতুন নোট বিনিময় করতে পারছেন। তবে একজন গ্রাহক একবারের বেশি নতুন নোট বিনিময় করতে পারবেন না। তবে ব্যাংক থেকে নতুন নোট ছাড়ার প্রথমদিনে চড়া নতুন টাকার বাজার। রাজধানীতে নতুন নোট বিক্রি করা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তারা ব্যাংক থেকে সরাসরি এখনো নতুন নোট নিতে পারছেন না। তাদের তৃতীয়পক্ষের দ্বারস্থ হয়ে নতুন নোট পেতে হচ্ছে। ফলে বেশি দামে নতুন টাকা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এদিকে ব্যাংকগুলোতে ২ ও ৫ টাকার নোট না মিললেও ব্যবসায়ীদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে এসব নোট। পাশাপাশি সরবরাহ থাকলেও অধিকাংশ ব্যাংক গতকাল ১০ টাকার নতুন নোট দিতে পারেনি। যদিও অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মিলছে নতুন নোট। গতকাল রাজধানীর গুলিস্তানে নতুন টাকা বিক্রি করা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
১৭ বছর ধরে নতুন টাকা বিক্রি করেন মো. জামাল। তিনি বলেন, এ বছর এখনো তেমন বেচাকেনা নেই। ক্রেতা এলেও দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন। জামালের অভিযোগ, ব্যাংক থেকে তারা সরাসরি নতুন টাকা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। ফলে ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে তাদের টাকা নিতে হচ্ছে। অনেক হাত ঘুরে নতুন টাকা তাদের হাতে আসায় কেনার সময়ই দাম বেশি পড়ে। ফলে কম দামে বিক্রি করলে তাদের লোকসান হচ্ছে। ৭০-৮০ হাজার টাকার নতুন নোট বিক্রি করতে পারলে এক হাজার টাকার মতো লাভ হচ্ছে।
বাজারে এবার নতুন টাকার দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ১০ টাকার নোটে হাজারে ১২০ টাকা বেশি নিচ্ছি। ৫০ টাকার নোটে পাঁচ হাজারে ১০০ টাকা, ২০ টাকার নোটে দুই হাজারে ১০০ টাকা, ১০০ টাকার নোটে ১০ হাজারে ১০০ টাকা এবং ২০০ টাকার নোটে হাজারে ২০ টাকা বেশি রেখে বিক্রি করছি।
৪০ বছর ধরে বিভিন্ন উৎসবে নতুন টাকা বিক্রির পেশায় জড়িত মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে সাধারণ মানুষকে নতুন টাকা দিলে বাজারেও দাম কমে। তবে এবার নতুন টাকা কম পাচ্ছি। এজন্য দামটা বেশি।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মো. আবু মুসা। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন তিনি। এজন্য নতুন টাকা কিনতে গুলিস্তান এসেছেন। জানতে চাইলে আবদুর রশিদ বলেন, ঈদে বাড়িতে গেলে সবাই সালামির জন্য বায়না ধরে। সালামিতে ছোট-বড় সবাই নতুন টাকা চায়। তাদের নতুন টাকা কম দিলেও খুশি হয়। তিনি বলেন, তবে এবার দাম বেশি। দুই হাজার টাকার বিভিন্ন নতুন নোট কিনবো। এজন্য ২০০ টাকা বেশি চাইছেন বিক্রেতারা।
রনি নামের আরেক ক্রেতা জানান, প্রতি বছরই তিনি গুলিস্তান থেকে নতুন টাকা নেন। এ বছর দামটা একটু বেশি। ছেঁড়া-ফাটা টাকাও পরিবর্তন করে নেয়া যায় এখানে। ছেঁড়া বেশি হলে একটু কম এবং ছেঁড়া কম হলে একটু বেশি টাকা দেয় বিক্রেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।