পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়ে ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অথবা ইউরোপের জন্য ‘একলা চলো’ নীতি গ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের সামনে এখন একটি প্রজন্মের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনী প্রচারণার সময় মি. ট্রাম্প পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে অচল হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
তিনি ইঙ্গিত করেন যে, উপযুক্ত অর্থ না দিলে ন্যাটো মিত্র দেশের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে। ব্রিটেনের অবজারভার পত্রিকায় এক কলামে মি. স্টোলটেনবার্গ উল্লেখ করেন, ন্যাটোর কোনো কোনো দেশের যে আরো বেশি আর্থিক ভূমিকা রাখা উচিত সে বিষয়ে মি. ট্রাম্পের কথায় যুক্তি আছে। কারণ বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই ন্যাটোর ৭০ শতাংশ ব্যয় বহন করে।
তবে তিনি এটিও উল্লেখ করেন যে, একটি নিরাপদ এবং স্থিতিশীল ইউরোপ যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থেই জরুরি সেটা মার্কিন নেতারা সবসময়ই স্বীকার করে এসেছেন।
‘আমাদের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধিকে আমরা খুব সহজেই গ্রহণ করে নিতে পারি। তবে এই অনিশ্চিত সময়ে আমাদের শক্তিশালী মার্কিন নেতৃত্বের প্রয়োজন এবং ইউরোপিয়ানদেরও উচিত ন্যায্য দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়া’। লেখেন নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মি. স্টোলটেনবার্গ।
ওয়াশিংটনে বিবিসির সংবাদদাতা পল অ্যাডামস বলছেন, মি. ট্রাম্প জয়ী হবেন না ভেবে যেসব কথাকে আগে গুরুত্ব দেয়া হয়নি এখন ন্যাটো জোটের জন্য সেই কথাগুলোই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের প্রতি মি. ট্রাম্পের প্রশংসাসূচক দৃষ্টিভঙ্গি ন্যাটো জোটের উদ্বেগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
হোয়াইট হাউসে পার্ট-টাইম থাকতে চান ট্রাম্প!
যে ক্ষমতাধর ‘প্রাসাদে’ উঠতে এতো এতো অর্থখরচ, এতো এতো প্রচারণা, এতো এতো বাকযুদ্ধ-মনস্তাত্ত্বিক লড়াই আর নির্বাচন, সে হোয়াইট হাউস জয় নিশ্চিত হওয়ার পর এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাবছেন, তিনি সেই প্রাসাদে ফুল-টাইম থাকবেন না, থাকবেন পার্ট-টাইম! তার এই অদ্ভুত ভাবনা ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যমে। একজন প্রেসিডেন্সিয়াল উপদেষ্টার বরাত দিয়ে নিউইয়র্কভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাকি আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউসে ওঠার আগে সেখানে বসবাসের ব্যাপারে উপদেষ্টাদের কাছে এই অদ্ভুত ভাবনার কথাটি বলেছেন।
এই ধনকুবের জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্সিয়াল কার্যক্রমে অংশ নিতে ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে থাকতে হলেও তিনি তার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের মায়া ত্যাগ করতে পারবেন না। সেজন্য ট্রাম্প উপদেষ্টাদের কাছে পরামর্শও চেয়েছেন কীভাবে কিছু সময় হোয়াইট হাউসে থাকা যায়, কিছু সময় তার ম্যানহাটনের পঞ্চম অ্যাভিনিউর ট্রাম্প টাওয়ারের ওই অ্যাপার্টমেন্টে থাকা যায়।
নিউইয়র্কের ওই সংবাদমাধ্যম বলছে, তার উপদেষ্টারা জানিয়েছেন, নির্বাচিত হওয়ার খবরে ট্রাম্প স্তম্ভিত ছিলেন। তিনিও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে, আসলে তিনি জিতে গেছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। তারপর এখন উপদেষ্টাদের বলছেন কীভাবে সপ্তাহের দিনগুলো ভাগ করে হোয়াইট হাউস ও ট্রাম্প টাওয়ারে থাকা যায়।
৫৮ তলাবিশিষ্ট আকাশচুম্বী ট্রাম্প টাওয়ারে এ ধনকুবেরের অ্যাপার্টমেন্টটি গড়ে তোলা হয়েছে ২৪ ক্যারেট সোনা, মূল্যবান বাহারি রকমের মার্বেলসহ অভিজাত সামগ্রী দিয়ে।
এই অ্যাপার্টমেন্টের মোহে পড়ে যাওয়া ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্সিয়াল উপদেষ্টাদের জানিয়েছেন, তিনি যে জীবন আগে থেকে যাপন করে আসছেন, এখনও তেমন করতে চান। সেজন্য হোয়াইট হাউসে কতো রাত অবস্থান করতে হবে সে ব্যাপারে একটি ফয়সালা যেন তাকে জানিয়ে দেয়া হয়।
উপদেষ্টারা প্রাথমিকভাবে তাকে জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রাম্পকে বেশিরভাগ সময়ই হোয়াইট হাউসে থাকতে হবে, যেমনটি অন্যদের ক্ষেত্রেও হয়েছে। ট্রাম্প টাওয়ার বা নিউজার্সির গলফ কোর্সসহ পছন্দ স্থানগুলোতে তিনি যেতে পারেন সপ্তাহান্তে কিংবা অবকাশে।
ধনকুবের প্রেসিডেন্ট এভাবে হোয়াইট হাউস-ট্রাম্প টাওয়ারে ‘দোলায়মান’ থাকলেও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে শিগগির উঠে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অবশ্য, তাদের ১০ বছর বয়সী সন্তান ব্যারন নিউইয়র্কের একটি স্কুলে অধ্যয়নের মাঝপথে থাকায় সেই ‘শিগগির’টা স্পষ্ট করা যাচ্ছে না। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।