পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের বিতর্কীত প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং দুর্নীতির দায়ে মন্ত্রীত্ব হারানো আব্দুর রাজ্জাক কর্তৃক ‘সময় ও সুযোগ পেলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করা হবে’-এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন আওয়ামী ওলামা লীগ ও অন্যান্য ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ। এ বক্তব্যের প্রতিবাদে নেতৃবৃন্দ এ কুলাঙ্গারকে দল থেকে বহিস্কারসহ রাষ্ট্রধর্ম অবমাননার ফলশ্রুতিতে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। নেতৃবৃন্দ আব্দুর রাজ্জাকের আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে সুয়োমোটো রুল জারির জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী ওলামা লীগ
আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরি, সহ-সভাপতি হাফেজ মুসতফা চৌধুরী, মুফতি মাছুম বিল্লাহ নাফেয়ী ও মাওলানা শোয়াইব আহমদ গোপালগঞ্জী, হাফেজ মাওলানা আব্দুল জলীল গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অমার্জনীয় বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাসের বহিপ্রকাশ ঘটিয়ে আব্দুর রাজ্জাক তার বিশ্বাসঘাতকতার চেহারা উন্মোচন করেছে মিডিয়ার কাছে। আলোচনায় তিনি বলেছেন, সময়-সুযোগ পেলে রাষ্ট্রধর্ম তুলে দেয়া হবে। এ বক্তব্য আওয়ামী লীগের নয়। তবে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ধর্ম-দেশ ও দলবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এ বক্তব্য আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত অপলাপ। কারণ, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন পাস করা হবে না।
এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিপরীতে এই বক্তব্য দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক নিজেকে চরম সাম্প্রদায়িক, দেশবিরোধী, দলবিরোধী এবং উগ্রহিন্দু সন্ত্রাসবাদীদের শ্রেণিভুক্ত প্রমাণ করলেন ।
এই আব্দুর রাজ্জাক ৯৫ শতাংশ মুসলমান জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। এই বিতর্কীত আব্দুর রাজ্জাক দুর্নীতির দায়ে মন্ত্রীত্বও হারিয়েছিল। তাছাড়া আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত এই রাষ্ট্রধর্মের ইস্যু নিয়ে বিতর্কীত মন্তব্য করায় সে আদালত অবমাননা করেছে। নেতৃবৃন্দ এই কুলাঙ্গারকে দল থেকে বহিস্কারসহ রাষ্ট্রধর্ম অবমাননার ফলশ্রুতিতে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।
হক্কানী ত্বরিক্বত ফেডারেশন
হক্কানী ত্বরিক্বত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান কাজী আহমদুর রহমান বলেন, সবকিছু একটি নির্দিষ্ট নাশকতার ছক অনুযায়ী করা হচ্ছে। প্রথমে নাসিরনগরে কাবাশরীফ অবমাননা হলো। ফেসবুকে কনক দাস কর্তৃক মুসলমানদের জানোয়ার বলে অভিহিত করা হলো, কতিপয় উগ্র হিন্দুর আইডি থেকে বিএনপিকে সরকারের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নেয়ার জন্য বলা হলো। এরপর সর্বশেষ সংযোজন আব্দুর রাজ্জাক কর্তৃক রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার হুমকি। এর দ্বারা বুঝা যাচ্ছে, উগ্র পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে ব্যার্থ হয়ে কুচক্রিদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। সুতরাং এ চক্রান্তকারীদের সব ষড়যন্ত্র উদ্ঘাটনসহ এদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে, এবং আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে বিচার করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।