পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষোভ প্রকাশ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির
হাবিবুর রহমান : সরকারি নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের দেওয়া ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি)’ ব্যবহার করে আকাশপথে বিদেশে পাড়ি জমানোর ঘটনার তদন্ত কাজ পাঁচ মাসেও শেষ হয়নি। অথচ মাত্র ২০ কার্যদিবস সময় দিয়ে গত ১৪ জুন তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন নৌ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও নৌ মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠকের সিদ্ধান্তে সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিকদের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে এনওসি প্রদান বন্ধ থাকার পরও বিমানবন্দরে বেশকিছু ‘বেআইনি এনওসি’ ধরা পড়ে। যাতে নৌ অধিদপ্তরের ‘ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শিপ সার্ভেয়ার এন্ড এক্সামিনার’ এস এম নাজমুল হকের স্বাক্ষর ও ফোন নম্বর পাওয়া যায়। গত ২ জুন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) নৌ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ওই এনওসি’র বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার অনুরোধ জানান। এরপর গত ১৪ জুন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রামের নাবিক ও প্রবাসী কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক নুরুল আলম নিজামীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেন। দুই সদস্যের কমিটিতে নৌ অধিদপ্তরের স্পেশাল অফিসার (মেরিন সেফটি) বদরুল হাসান লিটনকে সদস্য রাখা হয়। ওই কমিটি এখনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
এদিকে সংসদীয় কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগে নৌ অধিদপ্তরের এনওসি দিয়ে মানব পাচারের চাঞ্চল্যকর ঘটনাসহ এনওসিতে স্বাক্ষরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে তা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে নৌ খাত রক্ষা আন্দোলন নামের একটি বেসরকারি সংগঠন। সংগঠনের সদস্য সচিব আবু হেনা মোস্তফা স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগে বলা হয়, তদন্ত কাজ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে প্রতিবেদন দিতে অহেতুক গড়িমসি করা হচ্ছে। যে কারণে এনওসি ইস্যুসহ নৌ অধিদপ্তরের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক নিরূপম দেবনাথ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বলা হয়। এই নির্দেশনার দীর্ঘ ৪০ দিন পর গত ১৬ অক্টোবর অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। সে তদন্ত নিয়েও নানা তালবাহানা চলছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ জাহাজের ড্রাইভারশিপ ও সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিক পরীক্ষা এবং সব ধরনের অভ্যন্তরীণ নৌযান সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে। নারায়ণগঞ্জ অফিসের সার্ভেয়ার মাসে একদিন অফিস করলেও সেখানে প্রতিমাসে গড়ে ১৫০টি নৌযান সার্ভে ও ১০টি নতুন নৌযান রেজিস্ট্রেশন হয়। একই কর্মকর্তাকে দিয়ে ড্রাইভারশিপ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ‘চার্টার অব ডিউটিজ’ লঙ্ঘন করে তাঁকে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করানো হয়। যিনি একসঙ্গে আটটি দায়িত্ব পালন করছেন।
এবিষয়ে সংসদীয় কমিটির একজন সদস্য ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠনের কথাও কমিটিকে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি ওই তদন্ত কাজ নিয়ে লিখিত অভিযোগ এসেছে। সংসদীয় কমিটির পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নাবিক ও প্রবাসী কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক নুরুল আলম নিজামীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে কোন মন্তব্য করবে না বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।