পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোংলার সুন্দরবনে মাছ ধরার সময় বাঘের কামড় ও থাবা খেয়েও লড়াই করে বেঁচে ফিরলেন জেলে আবু সালেহ আকন। বাঘের আক্রমণে শরীরে ক্ষত নিয়ে তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে বাঘের আক্রমণে আহত ওই জেলেকে দেখতে হাসপাতালে উৎসুক মানুষের ভিড়ে অনেকটা বেকায়দায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
জেলে আবু সালেহ আকন ও প্রত্যক্ষদর্শী সঙ্গী মো. হানিফ জানান, গতকাল রোববার সকাল ৭টার দিকে মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের দক্ষিণ বাজিকরখন্ড গ্রামের জেলে আবু সালেহ আকন ও মো. হানিফ সুন্দরবনের জিউধরা এলাকার শুয়ারমারা খালে চরপাটা জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন।
এ সময় হঠাৎ একটি বাঘ আক্রমণ করে সালেহের উপর। পেছন থেকে বাঘটি সালেহের ডান হাতে একটি কামড় ও বাম হাতে, বাম ঘাড়ে ও পিঠে ৬টি থাবা দিয়ে জখম করে। বাঘের সাথে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সালেহ খালে লাফিয়ে পড়ে ডাক চিৎকার শুরু করলে বাঘটি সেখান থেকে বনের গহিনে চলে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকা সালেহের সঙ্গী হানিফ ও সালেহের চাচাতো ভাই আসাদুল সরদার তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল হোসেন স্বর্ণ বলেন, সালেহের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ৭টি কামড়, থাবা ও আঁচড়ের ক্ষত রয়েছে। তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তার শরীরের অবস্থা ভালো। এদিকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার (সংরক্ষিত) মাসুমা বেগম বলেন, সালেহ একজন পেশাদার জেলে, তার বাবাও জেলে ছিলেন। বন বিভাগের কাছ থেকে পাস পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে চরপাটা জাল দিয়ে মাছ ধরতে গেলে বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। সালেহ খুব সাহসী হওয়ায় বাঘের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে প্রাণে বেঁচে এসেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।