পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আনোয়ারুল হক আনোয়ার : মেঘনা বেষ্টিত হাতিয়া দ্বীপ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হচ্ছে। প্রতি বছর গড়ে ছয় বর্গকিলোমিটার এলাকা হারিয়ে যাচ্ছে। হাতিয়া মূল ভূখ-ের সুখচর, নলচিরা, চরঈশ^র, জাহাজমারা ইউনিয়নের মোক্তারিয়া, চানন্দী ইউনিয়নের হাসিনা বাজার, মুজিব বাজার, চরবাসার ও ক্যারিং চর এবং হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাট ও চতলাখাল এলাকায় ভাঙন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এসব এলাকায় চলতি বছর নদীভাঙনের শিকার দেড় সহস্রাধিক পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে এখন বেড়ীবাঁধ কিংবা খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছে। প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ত্রাণ সামগ্রীর পরিবর্তে নদী ভাঙন রোধ করার দাবী জানিয়ে আসছে।
মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে হাতিয়া উপজেলার ইতিহাস ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। হাতিয়া পুরাতন শহর, জামে মসজিদ, কোর্ট কাচারী, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা শুধু স্মৃতি বহন করে। হাতিয়ার নলচিরা ও সুখচর ইউনিয়ন এখন মাত্র ৪/৫ টি গ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। অপরদিকে চরঈশ^র, চরকিং ও তমরদ্দি ইউনিয়নের পশ্চিমাংশের ১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে। হাতিয়ার ঐতিহ্যবাহী আফাজিয়া বাজারটি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যাবে। উল্লেখ্য, বিগত আশির দশক থেকে এযাবত লক্ষাধিক পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। অপরদিকে হাতিয়ার মূল ভূখ-ে ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধলক্ষাধিক পরিবার হরনী ও চানন্দী ইউনিয়নে বসতি গড়ে তুললেও গত দুই বছরের ভাঙনে ইতিমধ্যে ৩/৪ হাজার পরিবার পথে বসেছে। এক কথায় প্রতি বছর কয়েক হাজার পরিবার ভূমিহীন হচ্ছে।
হাতিয়া মূল ভূখ- ভাঙন রোধ কল্পে এ যাবত বাস্তবমুখী কোন পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। গত সাড়ে তিন দশকে ভোটের ময়দানে মুখরোচক আশ^াসবাণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে। প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে নতুন বেড়ী নির্মাণ এবং সংস্কারের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয় তারও সুফল পায়নি দ্বীপবাসী। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে ফসল রক্ষার্থে লোনা পানি রোধে সরকারী উদ্যোগে বেড়ীবাঁধ নির্মাণে বরাদ্দকৃত অর্থ দুই তিনটি জোয়ারের পানিতে ভেসে যায়। অর্থাৎ নদী ভাঙনরোধে অদ্যাবধি স্থায়ী কোন ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি।
হাতিয়ার সুখচর, নলচিরা, চরঈশ^র, জাহাজমারা ইউনিয়নের মোক্তারিয়া এলাকায় ছয় কিলোমিটার, চানন্দী ইউনিয়নের হাসিনা বাজার, চর বাসার, মুজিব বাজার, ক্যারিং চর, হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাট ও চতলার খাল এলাকার ছয় কিলোমিটারসহ মোট ১২ কিলোমিটার এলাকা নদীভাঙনরোধ কল্পে এখনই উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। এব্যাপারে হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদৌস-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইনকিলাবকে জানান, হাতিয়া উপজেলার ১২ কিলোমিটার এলাকা নদী ভাঙনরোধ কল্পে একটি প্রকল্প পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। উক্ত প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। আশা করি প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।