Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শীর্ষ দশ দূষিত বায়ুর শহরের একটি ঢাকা শিল্পায়নের ক্ষেত্রে এটি সামনে রাখতে হবে

ডিক্যাব টকে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জন ফ্রিশেল

প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বিশ্বের শীর্ষ দশটি দূষিত বায়ুর শহরের একটি হলো ঢাকা। তাই বাংলাদেশে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণের বিষয়টি সামনে রাখতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে একথা বলেন, ঢাকাস্থ সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জন ফ্রিশেল। ডিক্যাব সভাপতি আঙুর নাহার মন্টির সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান।
রাষ্ট্রদূত জন ফ্রিশেল বলেন, বাংলাদেশ গত ১৫ বছর যাবত শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ইপিজেড একটি ভালো উদ্যোগ। তবে ইপিজেডগুলোতে বড় কোম্পানিগুলোকে স্থান দেয়া হয়। অথচ বাংলাদেশের শিল্পায়নের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প অন্যতম খাত। তাদের নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা জরুরি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কারণ বিশ্বের শীর্ষ দশটি দূষিত বায়ুর শহরের একটি হলো ঢাকা। ভারতের দিল্লি এবং চীনের শহরগুলোও মারাত্মক দূষণের শিকার। আমরা এ বিষয়টি একশত বছর আগেই পেরিয়ে এসেছি। অচিরেই আইএলও’র সাথে মিলে বাংলাদেশে স্যোশাল ডায়লগ নামে একটি কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে সুইডেন।
তবে তিনি বাংলাদেশে শিল্পায়নের জন্য ‘মেক ইন বাংলাদেশ’-এর ব্রান্ডিং-এর উপর জোর দেন। এজন্য প্রয়োজনে সুইডেন সহায়তা করবে বলেও জানান। তিনি আরো জানান, সুইডেনের বিখ্যাত বাস নির্মাণ কোম্পানি স্ক্যানিয়া কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে তাদের প্লান্ট নির্মাণ শুরু করবে। ফলে এখন থেকে স্ক্যানিয়ার ভারি যানবাহন বাংলাদেশেই তৈরি হবে।
গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পুলিশের তদন্তের গতি অনেক শ্লথ। হামলার পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে থাকি। আগের পরিবেশ ফিরে এলে আমরা খুশি হবো। তবে সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা নেয়া জরুরি।
বেক্সিট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউরোপের অভিন্ন আইনের বাইরে চলে যাবার ফলে বেক্সিট কার্যকর হকার পর ব্রিটেনে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নতুন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা ইউরোপীয়রা একটি শক্তিশালী এবং দায়িত্বশীল যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চাই।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে কোনো সমাজে মুক্তভাবে কথা বলা এবং মত প্রকাশের সুযোগ থাকা জরুরি। তিনি আইসিটি আইনের বিতর্কিত ধারাগুলোর সমালোচনা করে বলেন, এর ফলে এখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজস্ব খাত এখনো অনেক দুর্বল। জেন্ডার ইকুইট অর্জনে এখনো বাংলাদেশকে বহু পথ যেতে হবে। নারীদেরকে অনেক লড়াই করতে হবে। এর ফলে এখানকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইউরোপের সংবাদ মাধ্যমে নেগেটিভ হেডলাইন হয়। এগুলো দূরীকরণে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনধারাকে আরো উন্নত করার কথাও বলেন জন ফ্রিসেল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শীর্ষ দশ দূষিত বায়ুর শহরের একটি ঢাকা শিল্পায়নের ক্ষেত্রে এটি সামনে রাখতে হবে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ