পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719295898](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইন মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের (বরখাস্তকৃত) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো: আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। আদালতে আরিফুলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো: বশির উল্লাহ। পরে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কিবরিয়া হত্যাকা-ের ঘটনায় আরিফুলের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা রয়েছে। হত্যা মামলায় তিনি আগেই জামিন পেয়েছেন। এখন বিস্ফোরক আইনে হওয়া মামলায় আদালত জামিন মঞ্জুর করায় তার মুক্তিতে আপাতত বাধা নেই। অপরদিকে ড. মো: বশির উল্লাহ বলেন, বর্তমানে মামলাটি সিলেটের দ্রুত বিচার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিচারিক আদালতে আরিফুলের জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার পর ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চান আরিফুল। আপিল আবেদন গ্রহণ করে তাকে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন। এখন আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন। তবে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর আগে একই ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গত ৬ সেপ্টেম্বর আরিফুলকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বেঞ্চ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যেরবাজারে ঈদ-পরবর্তী এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এই মামলার প্রথম দফায় দেয়া অভিযোগপত্রে আরিফুলের নাম ছিল না। তবে সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্রে মেয়র আরিফুলের নাম আসে। সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মেয়র আরিফুলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরে ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর আরিফুল বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠায়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক চৌধুরী সর্বশেষ ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সিলেটের মেয়র নির্বাচিত হন। তবে কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।