পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাতক্ষীরা থেকে ঃ বাবার লাশ কবরে রেখে জেএসসি পরীক্ষা দিলো ছেলে তামিম হোসেন। বুক ভরা ব্যথা আর দু’চোখ ভরা পানি নিয়ে রোববার অংক পরীক্ষা দিয়েছে সে। তামিমের বাবা জাকির হোসেন (৪৯) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য। গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন জাকির। এর আগের নির্বাচনেও তিনি বিপুল ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাকির দু’বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও তার মনে ছিলো না কোনো অহংকার। ছোটদের আদর এবং বড়দের যথার্থ সম্মান দিয়ে চলতেন তিনি। সব সময় হাসি মুখে নিজের কর্মজীবন পরিচালনা করতেন। সেই সবার প্রিয় মানুষটি শনিবার দুপুরে ভোমরা স্থলবন্দরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হঠাৎ স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে সাতক্ষীরায় নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। রোববার সকাল নয়টায় জানাযা নামাজ শেষে পদ্ম-শাখরা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বাবা শাহাদাত হোসেন ও মা নবীয়ন নেছার কবরের পাশেই তাকে চিরনিদ্রায় শোয়ানো হয়েছে। মাওলান নজরুল ইসলাম পরিচালিত জানাযা নামাজে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু -বান্ধবসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ে তৃপ্তিকে ভোমরা স্থলবন্দরের পাশেই বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে তামিম এবারের জেএসসি পরীক্ষার্থী। রোববার সকালে জানাযা নামাজ শেষে কবরে বাবা জাকিরের দাফনের কাজ চলছে। তামিম ও তার বোন তৃপ্তি তাদের মা’কে জড়িয়ে কন্ন্ায় ভেঙ্গে পড়েছে, তখন ব্যাংক কর্মকর্তা এক দাদা তামিমকে জেএসসি’র অংক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বুঝিয়ে চলেছেন। মা চোখের পানি মুছে ছেলের মাথায় ও মুখে হাত বুলিয়ে দিয়ে দোয়া করে বলছেন, বাবা তুমি পরীক্ষা দিতে যাও। বুক ফাঁটা আর্ত্মনাদ করতে করতে তামিম অবশেষে রওয়ানা হয় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। তার সাথে ছিলেন, পল্লী শ্রী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নিকট স্বজনেরা। এসময় হাজারো মানুষের মুখ ছিলো বিষন্ন, ছিলো চোখ ভরা পানি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।