Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে রমজান : ডা: প্রকাশ মল্লিক

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ১১:১৫ এএম

ডা: প্রকাশ মল্লিক আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। হিন্দু পরিবারের সন্তান হয়ে ‘ইসলামের সৌন্দর্য’ শিরোনামে বই লিখে যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তাতেও দমেননি, কারণ তিনি সর্বধর্ম ‘সমন্বয়ে’ বিশ্বাসী। পবিত্র রমজান মাস ও রোজার মাহাত্ম্য নিয়ে তার মতামত শুনলেন কলকাতা থেকে প্রকাশিত পুবের কলমের প্রদীপ মজুমদার।

‘গিরিশচন্দ্র সেন প্রথম কুরআন শরিফের বাংলা অনুবাদ করেছিলেন (বিশুদ্ধ মত হলো- বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম কুরআন শরিফের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন মৌলভী নঈমুদ্দীন ১৮৩৬ সালে)। তাতে দোষের কিছু নেই। আর আমি ইসলামের সৌন্দর্য নিয়ে বই লিখলে যত দোষ!’ সমালোচকদের ঠিক এই ভাষায় জবাব দেন ডা: প্রকাশ মল্লিক।

তার কাছে ধর্মের মধ্যে ভেদাভেদ নেই, বরং সমন্বয়ে বিশ্বাসী তিনি। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল পবিত্র রমজান মাসকে তিনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? আর রোজাকেও বা কী চোখে দেখেন?

ডা: প্রকাশ মল্লিক উত্তরে জানালেন, ‘আমি মনে করি রমজান মাস মানুষকে মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। রমজানে উপবাসের মূল উদ্দেশ্য হলো- আত্ম নিয়ন্ত্রণ, আত্ম সংযম। এটাকে একটি আধ্যাত্মিক অথচ স্বাস্থ্যসম্মত ব্রত বলা যায়। এই মাসে খারাপ কাজ, খারাপ কিছু বলা বা শোনা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কারণ, এই মাসটি মহান আল্লাহ নির্দেশিত পরম সত্যকে উপলব্ধি করার সময়। এই মাসে রোজা রাখলে বিশ্বাস ও প্রত্যয়কে মন ও হৃদয়ে একাত্ম হতে সাহায্য করে, এটা যাবতীয় ভোগ বিলাস, কামনা-বাসনা, লালসা থেকে দূরে থাকার সময়। এইভাবে নিষ্ঠার সাথে মহান আল্লাহ’র কৃপা প্রার্থনা মানুষকে পবিত্র করে তোলে।’

তিনি আরো বলেন, ‘রোজা পালন আমার মনে হয়, সমাজকে সাহায্য-সহযোগিতা করা ও সহমর্মিতা দেখানোর অন্যতম শর্ত। রোজা ধনী-দরিদ্রকে একাত্ম করে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে শেখায়। ত্যাগ, তিতিক্ষার অনুশীলনের মাধ্যমে সাম্য-মৈত্রী গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রোজা ভাঙার জন্য যে ইফতারের নিয়ম রয়েছে, তাতেও একে অপরকে সাহায্য করতে দেখতে পাই। সবাই একসাথে ভাগ করে খাওয়ার মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বোধ জাগরিত হয়।’

ডা: প্রকাশ মল্লিক বলেন, ‘এ ছাড়া রয়েছে জাকাত। যা ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকে। আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের সাহায্য করে অপেক্ষাকৃত অর্থবানরা, এটা ইসলামেরই নির্দেশনা। এতে অর্থনৈতিক বৈষম্য অনেকটা দূরিভূত হয়। এক কথায় বলা যায়, রমজান নিজেকে ফিরে পাওয়ার মাস। মহান আল্লাহ’র নৈকট্য লাভের মাস। এই একটি মাসের অভ্যাস সারা বছর টেনে নিয়ে যাওয়ার বিধানই রয়েছে ইসলামে। এটাই ইসলামের সৌন্দর্য।’

সূত্র : পুবের কলম



 

Show all comments
  • SAROARDDI RIPON ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ১:৪৭ পিএম says : 0
    ওনার লেখায় সত্য প্রকাশ হয়েছে এতে কারো হিংশা করার কারন দেখিনা,
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডা: প্রকাশ মল্লিক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ