পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ক্ষমতার সাড়ে তিন বছরে নদী ও নৌপথের নাব্যতা ধরে রাখার জন্য বিআইডব্লিউটিএর বহরে ৭টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। যা ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছিল। দীর্ঘ সময়েও এই ড্রেজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাইনি।
‘আমরা ১৩ বছরে ৭টি ড্রেজার থেকে ৮০টি ড্রেজারে উত্তীর্ণ করেছি। বিগত ৪০ বছরে যা হয়নি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দ্বিগুণের বেশি উন্নয়ন হয়েছে বিআইডব্লিউটিএতে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেজার বেইজ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন স্বাধীনতা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন, তখন একটি স্লোগান জনপ্রিয় হয়েছিল : ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা।’ এই নদীর তীর ধরেই আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে দেশকে হানাদারমুক্ত করে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে এনেছেন। সেই নদী আজ নাব্যতা হারিয়েছে, নৌপথগুলো হারিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ মনে করিয়ে খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে যেই কথা বলেছেন, সেই কথা ১৯৭৫-পরবর্তী জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া কেউ বাস্তবায়ন ও উপলব্ধি করেন নাই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার কথা উপলব্ধি করেছেন। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ।
নদীভাঙন, নদীর নাব্যতা সংকট নিরসন এবং ভাঙনকবলিত মানুষগুলোকে রক্ষা করার জন্য বিগত সরকারের কোনো ধরনে পদক্ষেপ ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ এই ১৩ বছরে একটা ইমার্জিং টাইগারে পরিণত হয়েছে। একজন নেতাই পারেন একটি জাতির ভাগ্য বদলে দিতে। আমরা দেখেছি মহাত্মা গান্ধী, সুকর্ন, লেলিন, ফিদেল কাস্ত্রোকে। আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। একজন নেতাই তাবৎ বাঙালি জাতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। আমারা তারেই উত্তরসূরি হিসেবে শেখ হাসিনাকে পেয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহামারির মধ্যে সারা বিশ্বে ৫টি দেশের অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশও একটি অর্থনীতির। ২০৩৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে ৩৩তম অর্থনীতির দেশ হবে। করোনার মহামারির সময় সারা বিশ্ব যখন থেমে গিয়েছিল, তখন বাংলাদেশ থেমে যায়নি। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার কারণে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।