পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : গত সপ্তাহের লেনদেনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্যসূচক বেড়েছে। এছাড়া আর্থিক লেনদেন ও বাজার মূলধন বেড়েছে। তবে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৪টি কোম্পানির, কমেছে ১৭৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের লেনদেনে টপ টেন লুজারের শীর্ষে উঠে এসেছে রহিম টেক্সটাইল মিলস। এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ২৭ দশমিক ৪২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় কোম্পানির এ দর কমেছে। লুজারের প্রথমে থাকা আরো অপর কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটিভ ফাইন কেমিক্যালের ২২ দশমিক ৪০ শতাংশ, ইভিন্স টেক্সটাইলের ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেকের ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, তাল্লু স্পিনিং মিলসের ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ, আরগন ডেনিমসের ১২ দশমিক ২৬ শতাংশ, আইটি কনসালটেন্টসের ১১ দশমিক ৭২ শতাংশ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ১১ দশমিক ২১ শতাংশ, এইচ.আর টেক্সটাইলের ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ দর কমেছে।
এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের লেনদেনে টপ টেন গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে শাশা ডেনিমস। এ সময় কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৩১ দশমিক ৪১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় কোম্পানির এ দর বেড়েছে। টপ টেন গেইনারে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলোর মধ্যে যথাক্রমেÑ কোহিনুর কেমিক্যালসের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ, কনফিডেন্স সিমেন্টের ২৫ দশমিক ১৭ শতাংশ, গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ২২ দশমিক ১০ শতাংশ, ডরিন পাওয়ার জেনারেশনের ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, এপেক্স ফুডসের ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, নাভানা সিএনজির ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সোনালি আঁশের ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারির ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ দর বেড়েছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০৯ শতাংশ বেড়েছে। আর ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ডিএসই ৩০ সূচক ০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০২ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২ হাজার ৯৪৭ কোটি ২২ লাখ টাকার বা দৈনিক গড় ৫৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা এর আগের সপ্তাহে মোট ২ হাজার ১৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বা দৈনিক গড়ে ৪৩৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদে বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৩ দশমিক ২৩ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ০ দশমিক ৯৫ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৫৪১ কোটি টাকায়। অর্থাৎ গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ০ দশমিক ১১ শতাংশ।
গত সপ্তাহে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্টের শেয়ার। এ সময় কোম্পানির ১৫৩ কোটি ৮৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডরিন পাওয়ার জেনারেশনের লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩.৪০ শতাংশ। ৯২ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাশা ডেনিমস। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমেÑ স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এপেক্স ফুটওয়্যার, এমজেএল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, কাশেম ড্রাইসেল, ব্র্যাক ব্যাংক ও বিএসআরএম লিমিটেড।
এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে ডিএসই’র পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫ দশমিক ১৪ পয়েন্টে, যা গত সপ্তাহের শুরুতেও ছিল ১৫.১৪ পয়েন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।