শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাপে একদিন পর পুঁজিবাজারে আবারও দরপতন হয়েছে। ফলে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৪৯ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি উভয় বাজারে কমেছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর ফলে গত রোববার সূচক বৃদ্ধির পর ফের গতকাল সোমবার দরপতন হলো। তার আগে গত সপ্তাহের সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা চারদিন দরপতন হয়।
ডিএসইর তথ্য মতে, বাজারটিতে ৩৭১টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১২ কোটি ৫৪ লাখ ১৮ হাজার ৬০টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯১টির, কমেছে ২৩৪টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৬টি কোম্পানির শেয়ারের।
লেনদেন হওয়া প্রায় সব শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৫ দশমিক ২০ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট। ডিএসইতে ৬৪৩ কোটি ৫৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৫৭ কোটি ৪৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে।
ডিএসইে লেনদেনের শীর্ষে ছিল আইপিডিসির শেয়ার। এরপর ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, সোনালী পেপার, লাফার্জহোলসিম, জেনেক্স ইনফোসেস, নাহী অ্যালুমিনিয়াম, ফরচুন সুজ, ওরিয়ন ফার্মা, বিএসসি এবং সি পার্ল হোটেল লিমিটেড।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৯৫ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে ২৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৫৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির দাম। বাজারে ২৪ কোটি ৯১ লাখ ২৮ হাজার ৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ৬২ লাখ ২৩ হাজার ২০৯ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।