পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের সাথে চিনি, আখের গুড়, ছোলাবুট, চিড়া, খেসারি ডালসহ প্রায় সব ইফতার সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির মধ্যেও দক্ষিণাঞ্চলের সর্বত্র এবারো ইফতারি বাজার জমে উঠেছে। বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের সর্বত্র বেগুনের আগুন এখনো কমেনি। রমজানের শুরু থেকে প্রতি কেজি বেগুনের দাম ৮০ টাকার ঘরেই রয়েছে। এতে করে বেগুনির সর্বনিম্ন দাম ১০ টাকা। কোথাও একেবারে পাতলা করে ৫ টাকায় বিক্রি হলেও ক্রেতারা হতাশ ইফতার সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধিতে।
পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও খেসারি ডাল, ভোজ্যতেল আর বেসনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজুর আকার ছোট হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী আকার ছোট করে গত বছরের দামেই ইফতার সামগ্রী বিক্রির চেষ্টা করছেন। অফরদিকে মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে এবার ইফতার সামগ্রীর বিক্রি গত বছরের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে বলে একাধিক বিক্রেতা জানিয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে বড় ইফতারির পসরা নিয়ে এবারো হাজির বরিশাল মহানগরীর ‘নাজেমস রেঁস্তোরা’। গত দেড় দশক ধরে এ প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত ইফতারি বিক্রি করে আসছে। বরিশাল মহানগরী ছাড়িয়ে ঝালকাঠী, পটুয়াখালী, বরগুনা ও মাদারীপুর থেকে গাড়ি নিয়ে প্রতিদিন লোক আসছে এ প্রতিষ্ঠানের ইফতার সামগ্রী সংগ্রহ করতে। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির সামনে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে ট্রাফিক পুলিশ পর্যন্ত মোতায়েন করতে হচ্ছে।
এছাড়া মহানগরীর রয়েল রেঁস্তোরা, হান্ডি-কড়াই, রোজ গার্ডেন, গার্ডেন ইন, তাওয়া ও জাফরান রেস্টুরেন্টগুলোতে দামি ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। এসব রেস্টুরেন্টে ৩৮০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকায় একজনের ইফতারি বিক্রি হচ্ছে। এমনকি বরিশাল মহানগরীর একমাত্র ৩ তারকা মানের হোটেল গ্রান্ড পার্কও একজনের ইফতারি বিক্রি করছে হাজার টাকার ওপরে।
তবে ইফতারির আকাশচুম্বি মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই বরগুনার তালতলী উপজেলা সদরের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছোলাবুট, পেঁয়াজু, খেজুর, সবজি চপ ও বেগুনিসহ ৭ ধরনের ইফতার সামগ্রীর একটি বক্স বিক্রি করছে মাত্র ২ টাকায়। হাওলাদার ট্রেডার্সের মালিক তারেক হাওলাদার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি ব্যবসার জন্য নয় সম্পূর্ণ সেবার মনোভাব নিয়ে মাত্র দুই টাকায় ৭ ধরণের ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছেন।
তিনি জানান, রোজাদাররা দিন শেষে একটু স্বস্তিতে ইফতার করতে পারেন সে লক্ষ্যেই নিজের বাড়িতে এসব ইফতার সামগ্রী তৈরি করে প্রতিদিন বিক্রি করছেন। রমজান মাসে রোজাদারের পাশে এই শ্লোগান নিয়ে এ সেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন তারেক। তার এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে মাগরিবের আজান পর্যন্ত মাত্র দুই টাকায় ৭ ধরনের ইফতার সামগ্রীর এ প্যাকেজ কিনতে পেরে বেজায় খুশি শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ রোজাদাররা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।