পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোজ্যতেলসহ সব ধরনের সবজি ও গোশতের দাম বেড়ে যাওয়ায় ইফতারির দামও বেড়ে গেছে। এ জন্য রোজার প্রথম দিকে বাড়তি দামে ইফতারি কিনলেও কয়েক দিন না যেতেই তাতে ভাটা পড়েছে। মানুষ খরচ কমাতে ইফতারি বাজেটে কাটছাঁট করছেন। বাসাতেই ইফতারি তৈরি করছেন বেশি। ফলে বিক্রিও কমে গেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
সয়াবিন, পামওয়েল, সরিষাসহ সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। সয়াবিন ১৭০ টাকা, সরিষা ২৩০ থেকে ৩০০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও বেগুন, শসার দাম অনেক বেশি। সব ধরনের মসলার দামও বাড়তি। বেড়েছে বয়লার মুরগি থেকে পাকিস্তানি কক, লেয়ার ও দেশী মুরগির দাম। গরু, মহিষ ও খাসির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে সব ধরনের ইফতার সামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, নয়া পল্টন, চকবাজার, বেইলি রোড, শান্তিনগর, বাসাবোসহ বিভিন্ন এলাকার ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ইফতারি প্রথম দিকের তুলনায় এখন বিক্রি বেশ কমে গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ইফতারির কাঁচামাল। তাই তৈরি করা ইফতারির দাম আগের বছরের তুলনায় বেশি। এসব কারণে ক্রেতারা কম পরিমাণে ইফতার কিনছেন। ইফতারির সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী চকবাজারে দেখা যায়, আগে মানুষ যে পরিমাণ পণ্য কিনতেন এখন তার অর্ধেকও কিনছেন না। আগে সুতি কাবাব এক কেজি কিনলেও এখন ২৫০ গ্রাম কিনে বাড়ি ফিরছেন। বেইলি রোডে দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্রেতা গোশতের আইটেম কেনা এড়িয়ে চলছেন। যারা কিনছেন তারাও পরিমাণে কম কিনছেন। পল্টন এলাকার এক ক্রেতা বলেন, গত বছর যে বেগুনি পাঁচ টাকা দিয়ে কেনা যেত, তা এবার ১০ টাকায়। একই ভাবে আলুর চপ, পিয়াজু থেকে শুরু করে হালিমসহ সব ধরনের ইফতারের দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে কম ইফতারি কিনছেন। তিনি বলেন, এখন বেশির ভাগ জিনিস বাড়িতে বানায়। যেগুলো বাড়িতে সচরাচর বানানো যায় না সেগুলো দোকান থেকে কিনে নিয়ে যায়।
ক্রেতারা আরও অভিযোগ করেন, গত বছরের তুলনায় ৩০-৪০ টাকা বেশি কাবাবের দাম। গোশতের আইটেম অনেকটা গত বছরের চেয়ে একশো টাকা বেশিও আছে। এত দাম দিয়ে আমরা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার কিভাবে কিনব। ইফতারসামগ্রী কিনে বাসায় ঠিকই ফিরছি, কিন্তু পছন্দমতো নিতে পারিনি।
ফকিরাপুলে আজিবর হোসেন নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমরা কি করব? গত বছরও ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে হালিম বিক্রি করেছি। এখন গরুর গোশত থেকে শুরু করে সব পণ্যের দাম বাড়তি। তাই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যদিও আমাদের বিক্রি কমেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইফতারির বাজারে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে জিলাপি ও ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা ধরে ছোলা বুট বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ দুইটি ইফতার সামগ্রীও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিকে খেজুর ও মুড়ির দামও বেড়েছে বলে জানান ক্রেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।