Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মামলার নথি চেয়েছেন হাইকোর্ট

অর্থপাচার মামলায় ডিআইজি মিজান খালাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থপাচার সংক্রান্ত মামলার নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। মামলাটিতে বিচারিক আদালত মিজানকে খালাস দিয়েছিলেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল করলে আদালত সেটি গ্রহণ করে উপরোক্ত আদেশ দেন।

গতকাল রোববার বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী মো: ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ তথ্য জানিয়েছেন, দুদকের কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খান। আপিলে সরকারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক।
অর্থপাচারের একটি মামলায় খালাস দেয়া হলে গত ৭ এপ্রিল এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৫ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু মিজানুর রহমানকে খালাস দেয়া হয়েছে। তাই এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল করেছে।

এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম অর্থপাচার মামলায় রায় দেন। ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেফতার করা হয়। এ মামলায় ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি মিজানুর রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী শুনানি করেন। অপরদিকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি এনামুল বাছিরের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান শুনানি করেন।

এদিকে ঘুষ লেনদেনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান খালাস চেয়ে গত ৪ এপ্রিল হাইকোর্টে আপিল করেন। বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী ১৩ এপ্রিল এটি শুনানির কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত: ঘুষ লেনদেনের মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৮ বছর ও ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। এর মধ্যে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫ (এ) ধারায় ৩ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরদিকে মানিলন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে তাকে ৮০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। ৪০ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক শেখ মো: ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন দুদকের এই কর্মকর্তা। ২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান।

ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজান এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মামলার নথি চেয়েছেন হাইকোর্ট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ