পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ এরইমধ্যে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিআরআরআই) দেশের মানুষের খাবার যোগান দিতে উচ্চফলনশীল জাতের ধান উদ্ভাবন করছে। বিআরআরআই ইতোমধ্যে ১৪৩টি উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এবার এ প্রতিষ্ঠানটি খাদ্যের পাশাপাশি পুষ্টিগুণসম্পন্ন ধানের জাত উদ্ভাবনে কাজ করছে। খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এবার পুষ্টি চাহিদা অর্থাৎ মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এমন জাতের ধান উদ্ভাবন করছে। ইতোমধ্যে বিআর-৫ নামের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জাতের ধান এ প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া জিঙ্ক সমৃদ্ধ তথা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ধানের জাত বঙ্গবন্ধু-১০০ নিয়েও গবেষণা চলছে।
বিআরআরআই পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, বিআর ৫ হলো এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ধানের জাত। এটি আমদেরে দেশীয় জাত বাদশাভোগ ধান থেকে উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর জনপ্রিয় নাম হলো দুলা ভোগ। এটি একটি সংবেদনশীল জাত। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি বপন করে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। ফলন স্থানীয় জাতের তুলনায় দ্বিগুণ। বাজারমূল্যও ভালো। জীবনকাল ১৫০ দিন। হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ৩ টন।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করছে। খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় চারগুণ। ১৯৭১ সালে দেশে যেখানে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল এক কোটি ১৮ লাখ টন, সেখানে ২০২১ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে সোয়া ৪ কোটি টন। বিশেষ করে দেশের প্রধান খাদ্য চাল উৎপাদনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে উচ্চফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধান। ধানের নতুনজাত উদ্ভাবনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিআরআরআই ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। তবে চাহিদা পূরণে হাইব্রিড জাতগুলোর অবদান অনেক বেশি। সরকারি-বেসরকারি মিলে এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৩৪১টি ধানের জাত রিলিজ হয়েছে। এর মধ্যে ২০৮টিই হাইব্রিড জাত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।