Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীতে স্বাদ আর সাধ্যের সমন্বয় নেই

রেজাউল করিম রাজু, রাজশাহী থেকে | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৩ এএম

রোজা রেখে একটু ভাল ইফতারি করতে মন চাইলেও সবার ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে হিমসিম খাওয়া নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তদের ভাল ইফতারির সাধ খুব একটা পূরণ হচ্ছে না। এবার অন্যান্য পণ্যের সাথে তালমিলিয়ে বেড়েছে ইফতার সামগ্রীর দামও।
করোনার কারনে গত দু’বছর ইফতারির বাজার বসতে না পারলেও রাজশাহীতে এবার ভিন্নচিত্র। বড় বড় হোটেল রেস্টুরেন্ট থেকে পাড়া মহল্লার চায়ের দোকানে সাজিয়ে বসেছে অস্থায়ী ইফতার সামগ্রী। ফাষ্টফুডগুলো নানা প্যাকেজ সাজিয়ে চালাচ্ছে প্রচার প্রচারণা। এসব প্যাকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ৩০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। আর গরীবের পেঁয়াজু বেগুনীসহ অন্যান্য সামগ্রীর দামও কম নয়।

বেগুনী-পেঁয়াজুতে প্রতি পিস ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। আবার কোথাও এসবের আকারও ছোট হয়েছে। যে জিলাপী আগে কেজি ছিল ১২০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। নিমকি ১১০ টাকা কেজি আগে বিক্রি হলেও রমজানে ১৬০ টাকা হয়েছে। রমজান শুরুর সাথে সাথে ২০ টাকার শসার কেজি ৬০ টাকা, লেবুর হালি ১৬ টাকার স্থলে ৪০ টাকা।

রাজশাহীতে এখন প্রচণ্ড গরম। তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। ভেজাল আখের গুড়ের কেজি ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। সারাদিন রোজা থাকার পর বেশি দামের ভেজাল গুড়ের কারনে অনেকেই শরবত মুখে দিতে পারেন না। অপরদিকে বাজার তরমুজে ঠাসা থাকলেও দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তরমুজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি ডাবের দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

বেলের শরবত খেতে মন চাইলেও ছোট আকারের একটি বেল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। প্রতিটি ফলের দাম রমজানে বেড়েছে কেজি প্রতি সর্বনিম্ন২০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। আপেল, আঙ্গুর, কমলা, মাল্টা, খেজুর সবকিছুর দাম বাড়তি। রাজশাহী মহানগরীর ফল বিক্রেতা বাদশা মিয়ার সোজা সাপটা জবাব আমরা ইচ্ছে করে ফলের দম বাড়াইনি। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হয় বলে দাম বাড়তি। রমজানে সাধারণ মানুষের কাছে ফল কেনা এখন বিলাসিতা।

মহানগরীর সাহেব বাজার, লক্ষীপুর বাজার, নিউমার্কেট, তালাইমারী, বিনোদপুর বাজার, হড়গ্রাম বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ইফতার বাজারে ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। ফুটপাত ও ছোট ছোট দোকানগুলোয় সামান্য কিছু কম দামে পেঁয়াজু বেগুনী ছোলাসহ কিছু ইফতার সামগ্রী পাওয়া গেলেও তার মান বিশেষ করে তেলেভাজা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যদিও বড় ছোট সর্বত্র পাম তেলের ছড়াছড়ি।

ইফতার বাজারে বিত্তবানদের বিলাসী কেনাকাটা যেমন রয়েছে তেমনি ছোট খাট দোকানে সামান্য কেনাকাটা করছে সাধারণ মানুষ। দুটি বড় দোকানের মালিক জানালেন সাধারণ মানুষের আয় কমে যাওয়ায় দ্রব্যমূল্যের প্রভাব পড়েছে ইফতারর বাজারেও।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ