Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমরা দয়া করে দিলে ১০টি আসন পাবেন

বিএনপির প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে আমরা যদি দয়া করে ২, ৪ বা ১০টা আসন দেই, তাহলে আপনারা তা পেতে পারেন। অন্যথায় নয়।
গতকাল (শনিবার) সন্ধায় ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ঈদগাহ মাঠে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানের সংবর্ধনা উপলক্ষে দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা ফরিদপুরের মধুখালীতে বক্তব্য রাখেন। মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চু সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক বাতিল করলো, অথচ তাদের ৫ জন লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে মিছিল করতে পারলো না ভয়ে। আবার তারাই আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখায়।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সাবেক চিপ হুইফ জয়নাল আবেদিন ফারুক পুলিশের ভয়ে গায়ের কাপড়- চোপড় ফেলে দৌড়ে পালিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ নাসিম ও মতিয়া চৌধুরী পুলিশের মার খেয়েও না পালিয়ে রাস্তায় শুয়ে ছিলেন। এটাই আন্দোলন। ছাত্রলীগের ৫ জন লোক রাস্তায় নামলে ভয়ে দৌড়ে পালাবেন। আর আপনারা আন্দোলন করে সরকার পতন ঘটাবেন?
মোশাররফ বলেন, কুপি জ্বালিয়ে সূর্যের সামনে দাঁড়িয়ে সূর্যকে আলো দেখানো হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। সুতরাং আন্দোলনের মাধ্যমে যে দলের জন্ম তাদের আন্দোলনের ভয় দেখানোও হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়।
তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে কাজ করছেন তা নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হবে। আমরা প্রত্যাশা করি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। তাই শেখ হাসিনার সেই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ফরিদপুরবাসী আমরা বিগত দিন একতাবদ্ধভাবে এক মঞ্চে কখনও বসিনি। আজ থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আগামী নির্বাচনে ফরিদপুরের ৪টি আসন শেখ হাসিনাকে উপর দিবো।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, এই অঞ্চলে অনেকে আছে যারা রাতের অন্ধকারে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনারা সঠিক পথে ফিরে আসুন। দল করলে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিজের অনুভূতি প্রকাশে সংবর্ধিত নেতা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বিশ^াস করে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেই বিশ^াস রক্ষার দায়িত্ব পালনের জন্য আমি আমার জীবন উৎসর্গ করলাম। এই মধুখালির মানুষ যারা আমাকে বুকে ধারণ করেছে আমি আস্থার সঙ্গে বলতে পারি তাদের সন্তানকে তারা ছুঁড়ে ফেলবে না। সেই মধুখালির মানুষকে সাক্ষী রেখে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করলাম।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিলিপ রায় প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমরা দয়া করে দিলে ১০টি আসন পাবেন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ