Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্পের মেয়াদকালে আমেরিকা হবে এক অজানা নতুন দেশ

প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দি নিউইয়র্ক টাইমস : প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়াদকাল যুক্তরাষ্ট্রকে এমন এক অজানা যুগে নিমজ্জিত করবে যে দেশের ২৪০ বছরের ইতিহাসে তার সামান্যই তুলনা পাওয়া যাবে। তিনি বহু বিষয়েই তার অবস্থান অস্পষ্ট রেখেছেন, তবে কয়েকটি বিষয়ে তার অবস্থান খোলামেলা যেগুলো আমেরিকার গতিপথকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করবে।
যদি তার প্রচারণা প্রতিশ্রুতি বাস্তব রূপ পায় এবং যখন এটা স্পষ্ট নয় যে তার কতগুলো বাস্তবায়নে তিনি কাজ করবেন, রিপাবলিকান প্রাধান্য সম্বলিত হাউজ ও সিনেটের সাহায্যে সাশ্রয়ী সেবা আইন বাতিল হতে পারে যাদের নেতৃত্ব কার্যত হোয়াইট হাউস পুনর্দখলের আশা পরিত্যাগ করেছিলেন। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এ আইনের জায়গায় আরো ভালো কিছু করবেন, তবে কখনোই তিনি কোনো পরিকল্পনার কথা বলেননি।
সুপ্রিম কোর্ট ডান দিকেই গতিপথ পরিবর্তন করবে, সম্ভবত শেষ পর্যন্ত এতটা ডানে যেখানে বিচারপতি অ্যান্টোনিন স্কালিয়ার মৃত্যুর আগে তারা ছিল। তার মৃত্যুতে যে জায়গা খালি হয়েছে ট্রাম্প এখন তা পূরণ করবেন। তার মেয়াদকালে আরো কয়েকজনের জায়গা খালি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মেক্সিকো সীমান্তে যে দেয়াল নির্মাণের অঙ্গীকার তিনি করেছিলেন তা নির্মাণ করা হবে এবং অভিবাসন সংস্কারের পরিকল্পনা এর নিচে চাপা পড়তে পারে।
সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের নির্যাতন প্রেসিডেন্ট ওবামা সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছিলেন। তা ফিরে আসবে। আবারো চালু হবে জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি যে ব্যাপারে বর্তমান সিআইএ পরিচালক সম্প্রতি বলেছিলেন যে তার কর্মকর্তারা আর ঐ পদ্ধতিতে ফিরবে না।
ট্রাম্প যদিও যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের করে আনতে সক্ষম হবেন না, তিনি মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের অস্তিত্ব বিষয়ে প্রশ্নের সাথে আইনগত ভাবে এর নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করতে পারবেন। এক সময় তিনি মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরে বর্ণবাদী বলে অভিযুক্ত হওয়ার পর তা সংশোধন করে সমস্যার শিকার দেশগুলোর লোকদের আসা নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান যাদের প্রায় সবই মুসলিম প্রধান দেশ।
নিরাপত্তা প্রদান বাবদ আমেরিকাকে অর্থ দেয়া না হলে তিনি বিশে^ শান্তি বজায় রাখার জন্য নানা স্থানে মোতায়েন করা মার্কিন সৈন্য ফিরিয়ে আনবেন বলেছেন। তিনি ন্যাটোকে বলবেন যে অন্য দেশগুলো যদি তাদের ন্যায্য অংশ প্রথমে দেয় তাহলেই শুধু যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধোত্তর তার নিরাপত্তা অঙ্গীকার পালন করবে। তিনি বারবার এ ধারণা বাতিল করে দিয়েছেন যে আমেরিকার স্বার্থে যেসব অগ্রবর্তী ঘাঁটি রয়েছে সেগুলো চীন বা রাশিয়ার হঠকারিতা প্রতিহত করবে এবং আমেরিকান পণ্যের বাণিজ্যপথ খোলা রাখবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্পকে শীঘ্রই আমেরিকার পারমাণবিক কোড কিভাবে ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে অবহিত করা হবে। হিলারি ক্লিনটন ও ওবামা বলেছেন যে এ কোড রক্ষার ব্যাপারে ট্রাম্পকে কখনোই বিশ^াস করা যায় না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্ব পালন শুরুর এক বছরের মধ্যে এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে পারমাণবিক বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার পরিত্যাগ করে ও নিজেদের অস্ত্র তৈরি করলে তিনি স্বস্তি বোধ করবেন বলে যে কথা বলেছিলেন তা আসলেই বলেছিলেন কিনা।
ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তার বর্তমান দুর্বলতার পথেই থাকে এবং আমাকে সাথে নিয়ে বা আমাকে ছাড়া যে কোনো ভাবেই সে পথে থাকতে চায় তাহলে আলোচনা করতে হবে।
সবচেয়ে অনির্দেশ্য বিষয় হচ্ছে যে ট্রাম্প রাশিয়া ও তার প্রেসিডেন্টের সাথে কি আচরণ করবেন যার বারংবার প্রশংসা তার নিজের দলকেই বিস্মিত করেছে। তিনি কি ক্রিমিয়াকে অন্তর্ভুক্ত ও ইউক্রেনকে হয়রানি করার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন যা তিনি যুক্তিসঙ্গত মনে করেন বলে মনে হয়? তিনি কি রাশিয়ার সীমান্তে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি জোরদার করার ওবামা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন?
মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও গোয়েন্দা নেতৃত্বের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিদলীয় ঐকমত্য আছে যে রাশিয়াকে অবশ্যই দমন করতে হবে ও সংযত রাখতে হবে, তার ন্যাটোর নতুন সদস্যদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে, তার সাইবার হামলা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু ট্রাম্প কখনোই তার দলের এক সময়ের এক স্থায়ী পররাষ্ট্র নীতির অংশ রুশ দমনের কথা একবারও বলেননি। বরং বারবার বলেছেন যে, তিনি এবং তিনি একাই পুতিনের মত কর্তৃত্ববাদীর সাথে আলোচনা করতে পারেন।
সম্প্রতি তিনি বলেন, আমার প্রশাসন ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করতে আমাদের অংশীদার হতে ইচ্ছুক যে কোনো দেশের সাথে কাজ করবে এবং ইসলামী সন্ত্রাসবাদকে রুখবে। তার মধ্যে আছে রাশিয়াও। বুধবার পুতিন যেন তার কথার মধ্যে সে সুযোগই নিলেন বলে মনে হয়েছে এবং বললেন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পূর্ণ বিকশিত সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের দিকে তাকিয়ে আছেন।
ট্রাম্প রাশিয়ার মানবাধিকার লংঘন, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিরোধীদের কারাদ-, নির্বাচনে কারচুপির কথা বাতিল করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি দেশটির পরিমাপ করবেন শুধুমাত্র আমেরিকার প্রকল্পগুলোতে তাদের অংশগ্রহণে আগ্রহের ভিত্তিতে।
তিনি বলেন, তারা যদি আইএসকে দমনের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগ দিতে চায় তা খুবই ভালো হবে। তিনি বলেন, এ হচ্ছে ভীষণ অসম্পূর্ণ এক বিশ^ এবং এখানে আপনি সবসময় বন্ধু বেছে নিতে পারবেন না। কিন্তু আপনি কখনোই আপনার শত্রুদের চিনে নিতে ভুল করবেন না।
কয়েকটি ক্ষেত্রে ট্রাম্প অনড়। ১৯৮০-র দশক থেকেই তিনি কিছু পূর্ব ধারণা লালন করে আসছেন, প্রধানত আমেরিকার মিত্রদের ব্যাপারে যার মধ্যে রয়েছে জাপান ও সউদী আরব যে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারণা করছে। একটি প্রধান বিশ^শক্তি হিসেবে জাপান দৃশ্যপট থেকে অস্পষ্ট হয়ে গেলেও এবং ট্রাম্প বিশে^র যে অঞ্চলে আমেরিকার থাকার অল্পই কারণ দেখেন সে অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিত্র সউদি আরব অত্যন্ত সমালোচনা প্রবণ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও তার অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি।
মার্চে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, সউদী আরবের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি দেখা দিলেও তার কোনো আফসোস নেই। ১০০ মিনিটের সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমেরিকার ছত্রছায়া না থাকলে দেশটি টিকতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।
রহস্য হচ্ছে এসব কথাবার্তা কতটা তার গভীর বিশ^াস থেকে উত্থিত এবং কতটা তা ‘দি আর্ট অব ডিল’Ñএর লেখকের শুরুর প্রয়াস।
‘অ্যাপ্লায়েড হিস্টরি’-তে একটি নতুন প্রকল্প শুরু করেছেন হার্ভার্ডের দীর্ঘদিনের অধ্যাপক গ্রাহাম অ্যালিসন। তিনি ট্রাম্প সম্পর্কে বলেন, তিনি নিজেকে একজন লেনদেনকারী, একজন আলোচক হিসেবে দেখেন যিনি জানেন যে আপনি হুমকিগ্রস্ত না হলে কোথাও যাবেন না। বস্তুত তা বিশ^ আবিষ্কারের অপেক্ষায় যে ট্রাম্প তার অত্যন্ত অদ্ভুত নির্বাচনী প্রচারণায় আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা সম্পর্কে পুনঃ চিন্তা করে দেখবেন বলে যে কথা বলেছিলেন তা বাস্তব রূপ নিতে যাচ্ছে কিনা।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে তা দেশের অর্থনীতিকে তাৎক্ষণিক ভাবে অনিশ্চিত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে নিক্ষেপ করবে বলে মঙ্গলবার রাতে বাইরের দেশগুলোর অর্থবাজার আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে ওয়াল স্ট্রিট খোলার পর দরপতন ছিল ন্যূনতম যার অর্থ ছিল বিনিয়োগকারীরা অন্য সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছেন। ট্রাম্প যিনি নিজেকে কখনো সংরক্ষণবাদী মনে করেন না, তিনি বিভিন্ন সময়ে বাইরে চাকরি দাতা কোম্পানিগুলোকে শাস্তি প্রদানের শপথ ব্যক্ত করেন যা শুরু হবে পশ্চিম গোলার্ধকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্বপ্ন দেখা বাণিজ্য চুক্তি নাফটা বিলোপের সাথে। ট্রাম্পের কাছে এটা হচ্ছে এক বিপর্যয়।
আসলে ট্রাম্পের স্বপ্ন হচ্ছে অর্ধশতকের বাণিজ্য চুক্তির বন্ধনমুক্ত এক আমেরিকা, একটি জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণের স্বাধীনতা যাতে সাফল্যের পরিমাপ হবে তার জোটের মান দিয়ে নয়, লেনদেনে অর্থনৈতিক লাভের ভিত্তিতে। মার্চে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমরা আর চিড় ধরার শিকার হব না, আমরা প্রত্যেকের সাথে বন্ধুভাবাপন্ন হতে যাচ্ছি, কিন্তু কেউ আমাদের কাছ থেকে সুবিধা নিতে পারবে না।
দেয়াল তৈরি, বাণিজ্য চুক্তি বাতিলকরণ দৃষ্টিভঙ্গি আমেরিকাকে বিচ্ছিন্নতার যুগে নিয়ে যাবে বলে বক্তব্যে ক্রোধ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে স্রেফ আন্তর্জাতিক আইনের বন্ধন থেকে বন্ধন থেকে মুক্ত করছেন যা আমেরিকার স্বর্থের অনুকূল নয়।
তার নীতির মধ্যে ১৯৩০-এর দশকে চার্লস লিন্ডবার্গের নেতৃত্বাধীন একই নামের আন্দোলনের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নতা নয়, আমার আমেরিকা সবার আগে।
তিনি বলেন, আমি আমেরিকা প্রথমÑ এর প্রকাশ পছন্দ করি। তিনি তার সমাবেশগুলোতে এ শ্লোগানটি ব্যবহার করার পর থেকে তা স্টিকার ও শ্লোগানের ভাষ্যে পরিণত হয়।
তিনি অসংকোচে ব্যবসাকে প্রথম স্থানে রেখেছেন এবং তার করপ্রস্তাব পর্যন্ত তার ব্যাপ্তি ঘটেছে যা বাজারকে গভীরভাবে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে।
২০১৫ সালের জুনে ট্রাম্প টাওয়ারের দীর্ঘ এস্কেলেটরে তার যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল কেউ ভাবেনি তিনি তাতে সফল হবেন। তিনি কর কর্তনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন যা পরিবারগুলোর জন্য সহনীয় কিন্তু ব্যবসার জন্য বিঘœ সৃষ্টিকারী। তার যুক্তি যে এর ফলে দুর্বল অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।
তবে তিনি আমেরিকার পুরনো হয়ে যাওয়া বিমানবন্দরগুলো ও জীর্ণশীর্ণ সেতুগুলো পুনর্নির্মাণের এক বড় পরিকল্পনার সাথে এ সব কর্তনকে জুড়েছেন, সাথে রয়েছে আরো এক ট্রিলিয়ন পর্যন্ত বেশী ব্যয় করতে বেসরকারী শিল্পকে উৎসাহ দিতে ১৩৭ বিলিয়ন ডলার ফেডারেল কর ঋণ। বেসরকারীকরণ যখন এক নিছক নতুন ধারণা, তখন ট্রাম্প একটি পন্থা বর্ণনা করেছেন যা আগে অল্প কয়েকজন চেষ্টা করেছিলেন এবং এটা কিভাবে কাজ করবে তা একেবারেই অস্পষ্ট। সম্ভবত এ সব অবকাঠামো ব্যবহারকারীরা শেষপর্যন্ত টোল ও ব্যবহারিক কর প্রদান করে তার জন্য অর্থ পরিশোধ করবে এমন ব্যবস্থার মাধ্যমে যা অল্প লোকেই বুঝতে পারবে।
কেউই জানে না যে এ সব কর্মসূচি যা বেশীরভাগই গভীরতর গবেষণা ও বিতর্ক ছাড়াই উত্থাপন করা হয়েছে, তা কতটা বাস্তব। ট্রাম্প তার মত পরিবর্তনের জন্য বিখ্যাত, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সিদ্ধান্ত পাল্টান যদি লাভের নতুন ক্ষেত্র দেখতে পান, তিনি সব সময় অন্য কোনো কথা বলার কথা অস্বীকার করেন।
প্রফেসর অ্যালিসন ট্রাম্পের মধ্যে অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের ১৮২৮ সালের নির্বাচনী বিপ্লবের স্মৃতির পুনরাবৃত্তি দেখেছেন। জ্যাকসন ছিলেন জনপ্রিয় নেতা যিনি আমেরিকার প্রথম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ক্ষমতায় গিয়েছিলেন।
অ্যালিসন মঙ্গলবার রাতে ট্রাম্পের অনুকূলে ভোটের ফলাফল দেখে বলেন, আমরা এক অদ্ভুত নতুন দেশে আছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্পের মেয়াদকালে আমেরিকা হবে এক অজানা নতুন দেশ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ