পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি অর্থ আত্মসাতের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ আবুল কালামসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১২ মে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো: আসিফুজ্জামান এ তারিখ ধার্য করেন।
গতকাল মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। এ লক্ষ্যে কারাগারে থাকা মোহাম্মদ সাহেদকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আজাদসহ ৫জন আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময় প্রার্থনা করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১২ মে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেন। অন্যদিকে সাহেদ জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
আবুল কালাম আজাদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো: সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা: ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা: শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।
এর আগে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
চলতিবছর ২২ ফেব্রæয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ চার্জশিট আমলে নেন। এছাড়া মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন। একই সঙ্গে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেন।
২০২০ সালের ২৩ বছরের সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। এজাহারে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা না হলেও তদন্তে তাকে আসামি করা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘নিপসম’র ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছেন। ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন-মর্মে অভিযোগ আনা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।