পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সওম পালনরত অবস্থায় ভুলক্রমে কোনো কিছু ভক্ষণ করলে বা পান করলে রোজা নষ্ট হয় না। এমতাবস্থায় রোজা ভেঙে গেছে মনে করে সওম ভেঙে ফেলা ঠিক নয়। কারণ সে ইচ্ছাকৃতভাবে বা রোজার বিধান লঙ্ঘন করবার উদ্দেশ্য নিয়ে পানাহার করেনি। মূলতঃ সে ভুল করে পানাহার করেছে। হাদীস শরীফে এ ধরনের খাওয়া ও পান করাকে আল্লাহ পাকের দেয়া রিজিক বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি ভুল করে কিছু খেল বা পান করল, সে যেন রোজা না ভাঙে। কেননা, সে যা কিছু খেয়েছে বা পান করেছে, তা এমন এক রিজিক যা আল্লাহ তায়ালা তাকে দিয়েছেন। ভুলক্রমে পানাহারকারী ব্যক্তির জন্য নির্দেশ হলো এই যে, সে রোজা ভাঙবে না। বরং সে রোজা পূর্ণ করবে।
সহীহুল বুখারীতে সঙ্কলিত অপর এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, তার রোজা যেন সে পূর্ণ করে। উপরোক্ত হাদিসে ভুলবশতঃ পানাহারকারীকে রোজাদার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং রোজাদার তার রোজা পূর্ণ করবে এমনটিই স্বাভাবিক ব্যাপার। হাদীস শরীফে উম্মে ইসহাক (রা.) যুল-ইয়াদাইন (রা.)-এর একটি ঘটনা এভাবে বিবৃত হয়েছে যে, তারা একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর খেদমতে উপস্থিত ছিলেন। তখন একপাত্র সরীদ (এক ধরনের খাবার) উপস্থিত করা হলো। তখন তিনিও রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে তা ভক্ষণ করলেন। তারপর উম্মে ইসহাকের মনে পড়ল যে, সে রোজাদার। যুল-ইয়াদাইন ব্যাপারটি জানতে পেরে তাকে লক্ষ্য করে বললেন, ভক্ষণ করে পরিতৃপ্ত হওয়ার পর এখন তোমার মনে পড়েছে যে, তুমি রোজাদার? মূল ঘটনাটি জানতে পেরে রাসূলুল্লাহ (সা.) উম্মে ইসহাককে লক্ষ্য করে বললেন: তুমি তোমার রোজা পূর্ণ কর। কেননা, তুমি যা ভক্ষণ করেছ তা তো একটি রিজিক মাত্র, যা আল্লাহ তা‘আলা তোমার কাছ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। এতে সুস্পষ্ট বুঝা যায় যে, ভুলক্রমে পানাহার করলে রোজা নষ্ট হয় না। বরং সে রোজাকে পরিপূর্ণ করাই সমীচীন।
এ লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখেই ইমাম আবু হানীফা (রহ.), ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) ইমাম শাফেঈ (রহ.), ইমাম সুফিয়ান সওরী (রহ.) এক বাক্যে বলেছেন যে, যে ব্যক্তি ভুলবশতঃ কিছু খায় বা পান করে, তবে সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। এ রোজা তাকে কাজা করতে হবে না এবং এর জন্য কোনো কাফফারাও দিতে হবে না। চাই ভক্ষিত বস্তুর পরিমাণ কম হোক অথবা বেশি হোক, এতে কোনই তারতম্য দেখা দিবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।