পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের গত কেন্দ্রীয় কমিটি ছিল ৭৩ সদস্যের, কিন্তু ওই কমিটির বিভিন্ন উপ-কমিটিতে সহ-সম্পাদকের সংখ্যা ছিল ছয় গুণের বেশি। বিশালসংখ্যক সহ-সম্পাদক নিয়ে দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরামের অনেকের সমালোচনা ছিল। এই পদধারীদের নানা বিতর্কিত কর্মকা-ে ছিল অসন্তোষও।
বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তখন বলতেন, কার্যালয়ে যার গায়েই ধাক্কা লাগে, সেই বলে সহ-সম্পাদক। এবার নতুন কমিটি হওয়ার পর এখনও নবীন নেতাদের কাক্সিক্ষত সেই পদ সহ-সম্পাদকদের নাম এখনও জানানো হয়নি। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলছেন, সহ-সম্পাদকদের পদই এবার তুলে দেয়া হতে পারে। এতে হতাশ হয়ে পড়ছেন এই ফোরামে পদের আশায় বসে থাকা অনেক নেতা; যারা নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে কোনো পদে স্থান পাননি, নেই সহযোগী সংগঠনগুলোর কোনো পদেও।
নবীনদের দলে সক্রিয় রাখতে কোনো একটা পদ তো তাদের দিতে হবেÑ তাদের এই যুক্তিতে পদটি রাখার পক্ষে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে কয়েকজনও। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সহ-সম্পাদকের কোনো পদ না থাকলেও তরুণদের গুরুত্ব দিতে বিভিন্ন উপ-কমিটিতে সহ-সম্পাদক নিয়োগ দেয়া হয়।
২০১২ সালের কাউন্সিলের পর ৭৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে ৬৬ জনের নাম ঘোষণা হয়েছিল। এরপর কয়েক ধাপে এই সংখ্যা বেড়ে ৪৬৭ জনে দাঁড়িয়েছিল বলে জানান দলের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
সহ-সম্পাদকদের বিশাল সংখ্যা নিয়ে মাঝে-মধ্যে উষ্মা প্রকাশ করতেন তৎকালীন সভাপতিম-লীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। এই সম্মেলনের কয়েকদিন আগেও এক সভায় তিনি বলেছিলেন, উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ব্যাঙের ছাতার মতো বেড়েছে। পার্টি অফিসের সামনে যার সঙ্গে ধাক্কা লাগে, সেই বলে আমি আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক। কিন্তু তারা যে উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এটা তারা বলে না।
গত মাসে কাউন্সিলে ৮১ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ ও মনোনয়ন বোর্ড ঘোষণা হয়। এখনও সহ-সম্পাদকদের নাম জানানো হয়নি। গত ২৮ অক্টোবর নতুন সভাপতিম-লীর প্রথম বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, সহ-সম্পাদকের পদে সংখ্যা এবার ১০০তে সীমিত রাখা হবে। তবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সভানেত্রী চান না এভাবে দলের সহ-সম্পাদক পদ দেয়া হোক। তাই এবার সহ-সম্পাদক পদ বলতে কিছু থাকছে না।
এ বিষয়ে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, সহ-সম্পাদক পদ থাকবে কিনা, তা নিয়ে ভাবছি আমরা। এবার হয়তো সহ-সম্পাদক পদটাই বাদ দেয়া হবে। তবে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের জন্য বিভিন্ন সম্পাদকম-লীর কমিটিতে তারা স্থান পাবে। প্রতি সম্পাদকের সঙ্গে তিন বা পাঁচজন করে সহ-সম্পাদক রাখা হবে। তবে তা ঠিক হতেও কয়েক মাস লাগবে বলে হানিফ জানান।
আগের কমিটিতে থাকা একজন সহ-সম্পাদক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শেষ পর্যন্ত সহ-সম্পাদক রাখা না হলে কী আর করার। তবে থাকলে ভালো হতো। হতাশ কণ্ঠে আরেকজন বলেন, দলের জন্য কাজ করতে চাই, সেই সুযোগ পেলেই হয়। এখন নেত্রী যেখানে রাখতে চান, সেখানেই কাজ করব।
সাধারণ সম্পাদকের নিচে আওয়ামী লীগে সম্পাদকীয় দপ্তর রয়েছে ১৮টি। এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন আটজন। সহ-সম্পাদক পদের পরিবর্তে নতুন পদের কাজের ব্যাখ্যায় হানিফ বলেন, প্রত্যেকটি সম্পাদকীয় পদের একটি স্থায়ী কমিটি হবে। একজন থাকবেন সভাপতি, আর সম্পাদক থাকবেন সদস্য সচিব। ওই স্থায়ী কমিটিতে ৩ থেকে ৫ জন সহ-সম্পাদক থাকবেন।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, যেমন ধরুন প্রচার ও প্রকাশনায় একজন সভাপতি হলেন, সম্পাদক হবেন সদস্য সচিব। উনাদের সঙ্গে ৩ থেকে ৫ জন সহ-সম্পাদক কাজ করবেন।
এই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে নেতাদের পড়াশোনাকে গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর তার একাডেমিক পড়াশোনার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হবে। যেমন অর্থ বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে স্থান পেতে হলে অবশ্যই তাকে ওই বিষয়ে পড়াশোনা থাকতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।