পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে ৫ বিশিষ্টজনের সংবাদ সম্মেলন
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের ওপর হামলায় জড়িতরা আওয়ামী লীগের অন্তর্কোন্দলের সুযোগ নিয়েছে বলে মত দিয়েছেন চট্টগ্রামের পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক। গতকাল (শনিবার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ওই এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের কোন্দলের বিষয়টি উঠে এসেছে। ‘জেগে ওঠো বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে চট্টগ্রামের পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী, অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
তারা হামলার নিন্দা জানিয়ে ‘বাংলাদেশ ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু কমিশন’ গঠনসহ ১০ দফা সুপারিশ হাজির করেন। ড. মইনুল ইসলাম বলেন, এ হামলার পেছনে জঘন্য সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তি রয়েছে। এ নিয়ে সরকারের বেশ কিছু রাজনৈতিক সুবিধাবাদিতা কাজ করছে।
ড. অনুপম সেন দেশে বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার বিচারে দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এ ধরনের অপরাধও মানবতাবিরোধী। সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে আবুল মোমেন বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করছে। কিন্তু সরকার বা সমাজ মানবতার বিরুদ্ধে এসব অপরাধ কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারছে না।
নাসিরনগরের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক কর্তাব্যক্তির দায়িত্বে অবহেলা এবং ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতার উসকানি ও সংযোগ গোপন থাকেনি। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আবৃত্তিকার রাশেদ হাসান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উদীচীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. চন্দন দাশ, অধ্যাপক হোসাইন কবীর, সুনীল ধর, শরিফ চৌহান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।