পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘জাতির আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। কারণ আগামী দিনে এই শিক্ষার্থীরাই দেশকে নেতৃত্বে দেবে।’ গতকাল বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ২০১৬ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী সদস্য-সন্তানদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান এবং ডিআরইউতে আমরা নেটওয়ার্কের ফ্রি ওয়াইফাই জোনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা বলেন।
ডিআরইউ সভাপতি জামালউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রি ওয়াইফাই সার্ভিসদাতা প্রতিষ্ঠান আমরা কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ ও শিক্ষা সম্মাননা অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ইনডেক্স গ্রুপের পরিচালক কাইয়ুম নিজামী। বক্তব্য রাখেন ডিআরইউর যুগ্ম-সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, অর্থ সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এম এম কায়সার, সুরাইয়া মুন্নী, শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাইফ ইবনে কামাল সীমান্ত ও তাবাসসুম মোস্তফা অথৈ। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, ‘শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল ভিলেজের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তাদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা ও প্রযুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার মান বাড়িয়ে বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যাওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।’ তিনি যোগ করেন, ‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায় ছেলে-মেয়ে সমতা অর্জন করেছি। উচ্চশিক্ষায়ও কিছুদিনের মধ্যেই এর প্রতিফলন দেখা যাবে।’
জেএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন হুবহু গাইড বই থেকে তুলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে, এবার জেএসসির একটি পরীক্ষায় নোটবই থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। আমি আগেই বলেছিলোম, নোটবই থেকে প্রশ্ন করবেন না। যিনি করেছেন আমি আজ (গতকাল) সকালেই নির্দেশ দিয়েছি তাকে সাসপেন্ড করা হবে, তার সমস্ত বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেয়া হবে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ মন্ত্রী ডিআরইউতে আমরা নেটওয়ার্কের ফ্রি ওয়াইফাই সার্ভিস উদ্বোধন করেন। পরে তিনি কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও বৃত্তির টাকা তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, দপ্তর সম্পাদক মেহদি আজাদ মাসুম, নারী বিষয়ক সম্পাদক সুমি খান, ক্রীড়া সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, আপ্যায়ন সম্পাদক আমিনুল হক ভূঁইয়া, কল্যাণ সম্পাদক জিলানী মিলটন, কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ মাহমুদ এ রিয়াত এবং বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।