পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে বাঁধ নির্মাণ, তীর রক্ষা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও পানি নিষ্কাশনের কাজ করে আসছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে একাধিক প্রকল্পের কাজ নিয়ে যারা কাজের মান ও সময় ঠিক করতে পারে না তারা প্রাপ্ত কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো কাজ করতে পারবে না মর্মে প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনা রয়েছে এবং সিপিটিইউতে উক্ত নির্দেশনা প্রতিপালনের তাগিদ প্রদান করা হয়েছে। গত বছর সরকারি উন্নয়ন কাজে ধীরগতিসহ নানা অনিয়মের কারণে ১১টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা কেউ বলতে পারছে না।
আর কয়েক দিন পরে বন্যা দেখা দিতে পারে। এখনো ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর বাম ও ডান তীর সংরক্ষণসহ নদী খনন প্রকল্পের কাজ গোলাম রব্বানি কনস্ট্রাকশন লি: পেলেও এখনো এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেনি। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ নদীতে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের কৃষকদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন হাওরের কয়েকটি ফসলরক্ষা বাঁধ ধসে পড়েছে। গত শনিবার সকালে টাঙ্গুয়া হাওরের নজর খালি বাঁধ ভেঙে প্রায় সাড়ে ৫০০ বিঘা বোরো ফসল তলিয়ে গেছে। ওইদিন রাতেই টাঙ্গুয়া হাওরের পাশর্^বর্তী মাটিয়ান হাওরের আনন্দনগর পংখির খাল ফসলরক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। পরে রাতদিন পরিশ্রম করে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকরা কোনোরকম বাঁধটি রক্ষা করেছেন। আবার অনেক জেলায় এখনো বাঁধ নির্মাণ, তীর রক্ষা, বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করা হয়নি। জেলা প্রশাসকের কাছে কৃষকরা অভিযোগ করে জানান, ফসলরক্ষা বাঁধে যথাসময়ে মাটির কাজ না করা, মাটি ধুরমোজ, বাঁশ, বস্তা না দেয়ার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে বাঁধের মাটি ধসে পড়ছে। আর এক এক করে হুমকিতে পড়ছে বৃহৎ মাটিয়ান, শনিসহ সবক’টি হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এ তালিকা দেয়ার পরও দুই বছর পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আবার অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাজ করে কোটি কোটি টাকার বিল তুলে নিচ্ছে এবং সাব ঠিকাদারে মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় জিওব্যাগ-বাঁধ নির্মাণ এবং বাঁধ সংস্কারের ঘটনায় মামলাও হয়েছে। তারপরও এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড বলে জানা গেছে।
এদিকে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একাধিক কাজ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ের ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করে পালিয়েছে। তার মধ্যে কুড়িগ্রামের ধরলার বাংটুরঘাট এলাকায় আড়াই কিলোমিটার তীররক্ষা বাঁধের কাজ করছেন পাবনার ঠিকাদার গোলাম রব্বানী। এর মধ্যে ঠিকাদার গোলাম রব্বানী দু‘টি প্যাকেজের এক হাজার মিটার বাঁধের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের মূল ঠিকাদার পাবনার বাসিন্দা গোলাম রব্বানী। তিনি স্থানীয় ঠিকাদার মমিনুলের কাছে বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন এ চুক্তি বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করছে বলে স্থানীয় এমপি পনির উদ্দিন অভিযোগ করেছেন। কাজ নেয়ার পর থেকে টালবাহানা করে সাব ঠিকাদার। এখনো প্রায় তিন হাজার জিওব্যাগের হদিস পাননি বলেও দাবি করেন গোলাম রব্বানী। এ ঘটনায় কুড়িগ্রামে একটি মামলাও হয়েছে।
এ নির্দেশনা মোতাবেক পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চলমান কাজগুলো সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো কাজ প্রদান না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছেÑ মের্সাস সালেহ আহমেদ, মেসার্স আমিন অ্যান্ড কোং, গোলাম রব্বানি কনস্ট্রকশন লি:, মেসার্স আবুল কালাম আজাদ, মো. নূর হোসেন, নূনা ট্রেডার্স, মেসার্স রহমান ইঞ্জিনিয়ারিং,মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড সন্স, ন্যাশনটেক, ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স, তাজওয়ার ট্রেড সিমেস্ট লি:, মেসার্স এ এস কনস্ট্রাকশন, মো. লিয়াকত আলী, মেসার্স হাসান অ্যান্ড ব্রাদাস, এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি: এবং আতাউর রহমান খান লি:। এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একজনে এক বা একাধিক কাজ নিয়েছেন। পরে তা সাব-ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে এলাকা থেকে পালিয়েছেন। সাব ঠিকাদারের চুক্তির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তারা। এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গত ৩ মার্চ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় আর কোনো টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এবং নতুন কোনো কাজ প্রাপ্ত হবে না চিঠিতে বলা হয়েছে। সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ১৬ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ প্রদান বিষয়ক নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তা বাস্তবায়ন হয়েছে প্রায় দুই বছর পর।
গত বছর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে ধীরগতিসহ নানা অনিয়মের কারণে ১১টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল, ইস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং, মেসার্স হাসান অ্যান্ড ব্রাদার্স, মেসার্স তাজুল ইসলাম, মেসার্স মশিউর রহমান, এস এস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কোং, ডলি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, মেসার্স আমিন অ্যান্ড কোং, মেসার্স খন্দকার শাহীন, মেসার্স শামীমুর রহমান, ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং মেসার্স শহিদ ব্রাদার্স। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ, তীর রক্ষা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও পানি নিষ্কাশনের কাজ করে থাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় অধীন সংস্থাগুলোর বাস্তবায়নাধীন ৯৪টি প্রকল্পের অধিকাংশ প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ১১টি প্রতিষ্ঠানের হাতে মোট ৪১৬টি কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ১১১টি কাজের অগগ্রতি ৩০ শতাংশেরও কম। ৩০ থেকে ৪৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে ৫৩টি কাজের, ৪৬ থেকে ৬৭ ভাগ হয়েছে ৪৭টি কাজ।
পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ইনকিলাবকে বলেন, চলমান কাজ শেষ না করা পর্যন্ত নতুন করে কোনো কাজের জন্য টেন্ডারে অংশ নিতে পারবে না এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। সেভাবেই আমরা সবাইকে লিখেছি। এছাড়া লাইসেন্স ভাড়া দেয়া, কাজ বিক্রয়, সাব কন্ট্রাক্টর নিয়োগ, কাজ হাতবদল, সময় মতো কাজ সমাপ্ত না করা ইত্যাদি বিষয়ে একাধিকবার সতর্ক করার পরেও এই প্রতিষ্ঠানগুলো আশাব্যঞ্জক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
পিপিআর-২০০৮ (সরকারি ক্রয় বিধিমালা) এ অবাধ প্রতিযোগিতা থাকলেও অভিজ্ঞতা ও বার্ষিক টার্নওভার নির্ণায়কের কারণে প্রকৃত অবাধ প্রতিযোগিতার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। কতিপয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেট করে মাত্রাতিরিক্ত কাজ নিচ্ছে। ওয়ার্ক লোড (কাজের চাপ) থাকায় সময় মতো প্রকল্প শেষ হচ্ছে না বিধায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে অভিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিন অ্যান্ড কোং চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে ভোলাহাট উপজেলার গুপিনাথপুরে মহানন্দা নদীর ডান তীর প্রকল্পের কাজসহ বিভিন্ন জেলায় ৭টি কাজ করছেন। কাজ শুরুতে এ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতি’র অভিযোগ এনে ভোলাহাট উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুন। এ ঘটনায় ঠিকাদার সোহেল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় ভোলাহাট উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিভিন্নভাবে ঠিকাদারকে অনিয়ম ও দুর্নীতি করার অভিযোগ এনে হয়রানি করতে থাকে। এক পর্যায়ে চাঁদা হিসেবে একটি ফ্রেজার মোটরসাইকেল দাবি করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেও বিভিন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে হয়রানি করতে থাকে। পরবর্তীতে কাজ চলাকালীন সময় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তার পেটোয়া বাহিনীকে নিয়ে প্রকল্প এলাকায় শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলেন। তারা এও বলে শ্বাসায় চাঁদা না দিলে কাজ করতে পারবি না, এভাবে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকবো। ইতোমধ্যে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করে অনিয়ম বা দুর্নীতির কোনো সত্যতা পায়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
এদিকে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঠিকাদার আকবর খান সোহেল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ প্রতিবেদককে বলেন, ঠিকাদার আকবর প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি করায় তাদেরকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়। তাদের দুর্নীতির অভিযোগ প্রতিটি দফতরে দেয়া হবে। তাকেও হুমকি দেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রকল্পের কাজে অনিয়ম করার কোনো সুযোগ নেই। টেন্ডারে যে ডিজাইন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে সেই ডিজাইন মোতাবেক কাজ করছে ঠিকাদার।
কুড়িগ্রামে সদরের কাঁঠালবাড়ির বাংটুরঘাট এলাকা থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১২৮টি জিওব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। ধরলার বাংটুরঘাট এলাকায় আড়াই কিলোমিটার তীররক্ষা বাঁধ চলছে। এরমধ্যে ঠিকাদার গোলাম রব্বানী দু‘টি প্যাকেজের এক হাজার মিটার বাঁধের কাজ পায়। পরে ওই কাজ সাব ঠিকাদারকে বিক্রি করে দেয়া হয়। ওই এলাকা সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সরকারি দলের নেতা মমিনুল ইসলামরে কাছে। নিজস্ব লোকজন দিয়ে মমিনুল জিওব্যাগ ভরাট ও ডাম্পিং করছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন থেকে কাজ প্রায় বন্ধ রেখেছে। তবে মূল ঠিকাদার পাবনার বাসিন্দা গোলাম রব্বানীর দাবি ঠিকাদার মমিনুল স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে তার কাছ থেকে কাজ নিয়েছেন। তাকে কাজ না দিলে তিনি কাজ করতে পারতেন না। কাজ নেয়ার পর থেকে টালবাহানা করে সাব ঠিকাদার। এখনো প্রায় তিন হাজার জিওব্যাগের হদিস পাননি বলেও দাবি করেন গোলাম রব্বানী। এ কাজ নিয়ে স্থানীয়দের রয়েছে নানা অভিযোগ, জিওব্যাগে বালু ভর্তির পর পাউবো চিহ্ন দিলে তা ডাম্পিং করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন তা ডাম্পিং না করে বিল তুলে নেন। কাজে এভাবে ফাঁকির ফলে প্রতিবছর নদীভাঙন রোধে সরকারের বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকা পানিতেই চলে যায় কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। এলাকার কেউ কেউ সিন্ডিকেটের সঙ্গে পাউবোর লোকজন ও মূল ঠিকাদারের লোকজনের জড়িত থাকার অভিযোগও তুলছেন। ঘটনার পর থেকে মমিনুল আড়ালে রয়েছেন। ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর বাম ও ডান তীর সংরক্ষণসহ নদী খনন প্রকল্পের কাজ গোলাম রব্বানি কনস্ট্রাকশন লি: পেলেও এখনো এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেনি বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন।
তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলাধীন ধরলা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ বাম ও ডান তীর সংরক্ষণ এবং ড্রেজিং শীর্ষক প্রকল্পটি এখন পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদন। খুব শিগগিরই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ৮টি স্থানে মোট ১৬ দশমিক ৮৪০ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, ৩৪ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং, ৪টি স্থানে ১৬ দশমিক ৬৫৫ কিলোমিটার বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, ৪টি স্থানে ১৭ দশমিক ৯০০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনরাকৃতিকরণসহ ৮টি স্থানে আরসিসি দৃষ্টি নন্দন ঘাট নির্মাণ করা হবে। এর পাশাপাশি সমগ্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দু’ঢালে সবুজ বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে মূল ঠিকাদার গোলাম রব্বানী ফোনে ইনকিলাবকে বলেন, ভাই আমি ভারত যাব চিকিৎসার জন্য লাইনে দাড়িয়েছি। কাজটা পাওয়ার পর কাজ করতে গেলে স্থানীয় অনেকে কাজটি নেয়ার জন্য আসে। অনেকটা বাধ্য হয়ে আমি কাজটা দিয়েছি। ওনারা যা করছে ক্ষতি আমার হচ্ছে। বিষয়টি আগে থেকে পাউবো অফিসে জানিয়েছি। পাউবো কুড়িগ্রামের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী-১ মাহমুদ হাসান জানান, জিওব্যাগগুলো মূলত নিয়োগকৃত ঠিকাদার গোলাম রব্বানীর। তিনি স্থানীয় মমিনুলকে সাব ঠিকাদার দিয়েছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।