পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হচ্ছে তার প্রায় সবগুলোই ব্যবসায়ী-পরিবহণ ব্যবসায়ীসহ বিশেষ শ্রেণীর মানুষের জন্যই নেয়া হচ্ছে। রমজানে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণসহ প্রায় সব সিদ্ধান্তই ব্যবসা বান্ধব। তারপরও ব্যবসায়ীরা সিণ্ডিকেট করে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে মানুষের ক্ষোভ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির উপর।
কারণ তিনি নিজে ব্যবসায়ী হওয়ায় জনগণের স্বার্থের চেয়ে ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ফলে গতকাল দ্রব্যমূল্য নিয়ে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের কঠোর সমালোচনা ও ক্ষোভের মুখে পড়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিরোধী দলের এমপির বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী একজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী হয়েও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ব্যবসায়ী এটি বেশি করে বলা হয়। কিন্তু তিনি ব্যবসা করছেন ৪০ বছর ধরে, আর রাজনীতি করছেন গত ৫৬ বছর ধরে। আমার প্রশ্ন ব্যবসায়ী হওয়া কি অপরাধ? জাতীয় সংসদে ‘বাণিজ্য সংগঠন বিল-২০২২’ পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টির এমপিরা। বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, গ্যাসের অভাবে ঢাকায় হাহাকার চলছে। গ্যাসের দাম, তেলের দাম সব বাড়ানো হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু উদ্যোগ সরকার নিয়েছে। কিন্তু সেখানে স্বচ্ছতার অভাব আছে। ব্যবসায়ীরা জনপ্রতিনিধি হয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ক্ষমতার বলয়ে থেকে সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তারেক রহমান লন্ডন থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করছেন, বিএনপির কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, এসব অপ্রাসঙ্গিক কথা না বলে সরকারকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে হইচই হলো। ১৫ দিনে সিন্ডিকেট এক হাজার কোটি টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। সিন্ডিকেট হলো সরকার। সরকার আর সিন্ডিকেটের মধ্যে পার্থক্য নেই।
জাতীয় পার্টির এমপি পীর ফজলুর রহমান বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। যে কারণে প্রায় সময় সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। মন্ত্রী একজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী কিন্তু কেন তিনি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। সত্য স্বীকার করতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। সিন্ডিকেট করে তেলের দাম বাড়িয়ে হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি। তিনি বলেন, সংবাদপত্রে এসেছে বাণিজ্যমন্ত্রী বাজারে গিয়েছেন এবং তিনি ২৮ টাকা কেজিতে ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন। এখন মন্ত্রী যদি ঘোষণা দিয়ে একটু কাঁচাবাজার, সবজি বাজারসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে যেতেন মানুষও ওই বাজারে যেতে পারত এবং মন্ত্রীর মতো কম দামে জিনিস কিনতে পারত। কারণ উনি যতই ভ্যাট কমিয়ে মূল্য কমানোর চেষ্টা করছেন, প্রকৃতপক্ষে বাজারে পণ্যের দাম অত কমেনি। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।