পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র রমজান মাসের রোযা সম্পর্কে মহানবী (সা.) সুসংবাদ শুনিয়েছেন- ‘যিনি সিয়াম পালন করবেন ঈমান আর পূণ্য লাভের আশায়, ক্ষমা করে দেয়া হবে তার পূর্বের সব অপরাধ’। বাস্তবিকই রামাযান পাওয়া একজন মুমিন বান্দার জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া। এ সুযোগ লাভ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে জান্নাতে যাওয়ার তাওফীক অর্জন করা।
পবিত্র রমজান আগমনের অপেক্ষায় জান্নাতকে ১১ মাস ধরে সুসজ্জিত করা হয়। তেমনি প্রতিটি মুসলিমের উচিত রমজান মাস আসার আগে থেকেই পরিকল্পনা গ্রহণ করা যে, রমজান মাসকে আমরা কীভাবে কাজে লাগাবো। মহানবী (স.)কে একদা মিম্বারে খুৎবা দিতে ওঠার সময় তিনবার ‘আল্লাহুম্মা আমিন’ বলতে শোনা গেল। নামায শেষে সাহাবগণকে কারণ হিসেবে বলা হ’ল, আমাকে জিব্রাইল (আ.) এসে বললেন, যে রমজান মাস পেয়েও নিজের গুনাহ ক্ষমা করিয়ে নিতে পারলো না সে ধ্বংস হোক, আমি বললাম, ‘আমিন’।
এ মাসের বরকত ও কল্যাণ লাভ করে নিজেদের সব গুনাহ ক্ষমা করিয়ে নিতে তাই প্রতিটি মুসলিমের থাকা চাই একটি পরিকল্পনা। নিজেকে সব ধরনের সাংসারিক, বৈষয়িক, ব্যবসায়িক ঝামেলা থেকে মুক্ত করে রামাযানের ইবাদতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। কুরআন তিলাওয়াত, রামাযানে সময়মত সালাত আদায়, রাতে তারাবীহ ও তাহাজ্জুদের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা এবং সাধ্যমতো দান সাদাকাহ ও কল্যাণকর কাজ করা। পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে এবং মানবতার কল্যাণে যতটুকু সম্ভব ত্যাগের মহিমায় নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করা। অমুসলিমরা তাদের ধর্মীয় পার্বণে দ্রব্যের মূল্য হ্রাস করে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, আর আমরা রামাযানে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য, বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি করে অর্থ উপার্জনে বিবেকহীন অন্ধ হয়ে যাই, যা বড়ই লজ্জা ও আফসোসের বিষয়। আল্লাহ আমাদের বিবেকবর্জিত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখুন। আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।