পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
ঢাকা কারাগার থেকে পাঁচ দিন আগে মুক্তি পাওয়া দাউদ মার্চেন্টকে মুম্বাই হাইকোর্টে হাজির করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের যুগ্ম কমিশনার সঞ্জয় সাক্সেনাকে উদ্ধৃত করে ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলশান কুমার হত্যা মামলার এই দ-িত আসামিকে গত বুধবার মেঘালয় সীমান্তে বিএসএফের কাছ থেকে বুঝে পায় পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার তাকে মুম্বাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুবাইয়ে থাকা ভারতীয় ‘মাফিয়া ডন’ দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে পরিচিত দাউদ মার্চেন্টকে গত রোববার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তবে তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করার বিষয়টি সেদিন স্পষ্ট করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
হিন্দু লিখেছে, ইন্টারপোলের মধ্যস্থতায় দুই দেশের সরকারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মধ্য দিয়ে দাউদ মার্চেন্টের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও সরকারি ভাষ্য ভিন্ন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার সময় বিএসএফের হাতে আটক হন এই ফেরারি আসামি।
যুগ্ম কমিশনার সঞ্জয় সাক্সেনা হিন্দুকে বলেন, “ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে দেখা যায়, দাউদ মার্চেন্ট গুলশান কুমার হত্যায় দ-প্রাপ্ত পলাতক আসামি। এরপর তাকে মুম্বাই নিয়ে যাওয়া হয়।”
মুম্বাই হাইকোর্ট দাউদ মার্চেন্টকে দায়রা আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে বলে সাক্সেনা জানান।
মুম্বাইয়ের সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমারকে ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট আন্ধেরি এলাকার একটি মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার সময় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। ওই হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন ভাড়াটে খুনি দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেফতারের পর ২০০২ সালে তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয় ভারতীয় আদালত। এরপর সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন দাউদ।
কিন্তু ২০০৯ সালে ১৪ দিনের প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর পালিয়ে যান তিনি। ওই বছরের ২৮ মে ভারত সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এক সহযোগিসহ তাকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ। এরপর জাল পাসপোর্ট তৈরি ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দাউদ অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান করছিলেন। ভারতের অপরাধ জগতের আলোচিত ডন দাউদ ইব্রাহিম বাংলাদেশে নিজের কর্মকা- বিস্তারের জন্য দাউদ মার্চেন্টকে এ দেশে পাঠিয়েছেন।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দাউদ জামিন পেলে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তির পরপরই তাকে আবার আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে দাউদকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে আলোচনা তোলা হলেও বিষয়টি দীর্ঘদিন আটকে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।