পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলে নির্মাণের মাত্র দুই মাসেই বেহাল দশা সড়কের। প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তাটির আরসিসি সোল্ডার ভেঙে খালে পড়ে গেছে। এছাড়া রাস্তার ঢালে প্যালাসাইডিং ধসে খালের তলায় চলে গেছে। অধিকাংশ স্থানে ধরেছে ফাটল। দেবে গেছে একাধিক স্থানে। ফলে যান চলাচলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ঘটনাটি মানিকগঞ্জ পৌরসভা এলাকায়।
এদিকে নির্মাণের দুই মাসের মধ্যে রাস্তার বেহাল দশা হলেও বিল পেতে মরিয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে কাজের অধিকাংশ বিল পেলেও এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে জামানতের টাকা আটকে দেয়ায় মেয়রের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পৌর মেয়র মো. রমজান আলী এতথ্য জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (বিএমডিএফ) প্রজেক্টের আওতায় ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল সড়ক উন্নয়নের দুটি প্যাকেজের টেন্ডার হয়। টেন্ডারে অংশ নিয়ে ১ নম্বর প্যাকেজে যৌথভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা হয় মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স হোসাইন কনন্ট্রাকশন। যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে একই বছরের ২ মে পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ১৪ কোটি ৯৫ লাখ ৬৫ হজার টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, রাস্তায় খুবই নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। ট্রাক দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ করার কথা থাকলেও পাশ থেকেই মাটি কেটে রাস্তায় ফেলা হয়। ১২ মিলি রডের পরিবর্তে ৮ মিলি রড ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে রাস্তার অনেক জায়গা ভেঙে গেছে।
নির্মাণ চুক্তিতে ৪ মিটার প্রস্থ থাকার কথা থাকলেও তারা নির্মাণ করে ৩ মিটার। এলাকাবাসীর আপত্তিতেও কোনো কর্ণপাত করেনি ঠিকাদাররা। তারা স্থানীয় প্রভাবশালী লোক হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিতো। ফলে প্রাণভয়ে অনেকেই চুপ থাকে। কিন্তু রাস্তা নির্মাণের মাত্র দুই মাসের মধ্যে তা ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তবে প্রভাব খাঁটিয়ে কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিল তুলে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে এলাকাবাসীর আপত্তির মুখে জামানত আটকে দেন মেয়র।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র মো. রমজান আলী বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেছি, ওই রাস্তার কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হয়েছে। এছাড়া রাস্তার ঢালে প্যালাসাইডিং ধসে খালের তলায় চলে গেছে। অধিকাংশ স্থানে ধরেছে ফাটল। দেবে গেছে একাধিক স্থানে। ফলে যান চলাচলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে রাস্তাটি মেরামত করে দিতে বলেছি। তারা মেরামত করে দিলে জামানতের টাকা পরিশোধ করা হবে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মা ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেসার্স হোসেন কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।