পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লাখো কল্যাণ আর মুক্তির সওগাত নিয়ে বছর ঘুরে আবারো আমাদের মাঝে সমাগত মাহে মোবারক, মাহে রামাযান। মুমিন হৃদয় তাই আনন্দ হিল্লোলে বিমোহিত, রবের সান্নিধ্য লাভের উন্মাদনায় শিহরিত, জান্নাত লাভের বাসনায় আনন্দিত, উদ্বেলিত রামাযানের পূণ্যলাভের আকাক্সক্ষায়। প্রকৃত অর্থেই রামাযান মাস একজন মুসলিম বান্দার জন্য আল্লাহর নেয়ামত ও করুণা লাভের এক মহাকল্যাণকর মওসুম। এ মাস কুরআন নাযিলের মাস, জান্নাত লাভের মাস, জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের মাস, তাকওয়া অর্জনের মাস। সালফে সালেহীনদের মতে, রজব মাস হলো বাতাসের ন্যায়, শাবান মাস হলো মেঘের ন্যায় এবং রামাযান হলো বৃষ্টির ন্যায় অর্থাৎ অবারিত রহমতের বারিধারা বয়ে চলার মাস রামাযান, অফুরন্ত কল্যাণের মাস রামাযান।
এ মাসের সওম প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমের ওপর ফরজ। আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে যারা এ মাসে সমুপস্থিত থাকবে তারা যেন সাওম পালন করে। ইসলাম ধর্ম যে পাঁচটি স্তম্ভের ওপর দণ্ডায়মান তার একটি হল সাওম। এর শাব্দিক অর্থ হলো কোন কিছু থেকে বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় সুবহে সাদিক হতে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পান, আহার, স্ত্রী সঙ্গমসহ সকল প্রকার সিয়াম ভঙ্গকারী কার্যাবলী হতে সিয়ামের নিয়্যাতে বিরত থাকাকেই সিয়াম বলা হয়।
কেউ যদি সিয়াম পালন করাকে ফরয মনে না করে তাহলে উম্মাতে মুসলিমার ইজমা অনুযায়ী সে কাফের। সে ইসলাম হতে বিচ্যুত। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম ফরয করা হলো যেরূপ তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার’। (সূরা বাকারা আয়াত : ১৮৩)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন : ‘রামাযান এমন এক মাস যাতে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে মানব জাতীর হিদায়াতের জন্য। এতে রয়েছে হেদায়াতের সুস্পষ্ট দলীল। আর তা হলো সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী। অতএব যে ব্যক্তি রামাযান মাসে উপনীত হবে সে যেন ঐ মাসের সিয়াম পালন করে। (সূরা বাকারা আয়াত: ১৮৫)
আবূ হুরায়রাহ (রা) সূত্রে নাবী (সা) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেছেন: ঈমান সহকারে সাওয়াবের আশায় যে কিয়াম করে (নফল সালাত আদায় করে) তার পূর্বের সকল (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করা হয়। ঈমান সহাকারে সাওয়াবের আশায় যে ব্যক্তি রামাযান মাসের সিয়াম পালন করে তার পূর্বের সকল (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করা হয়। (সহীহ বুখারী হা: ১৯০১, সহীহ মসলিম হা: ৭৬০)
আবূ হুরায়রাহ (রা) থেকে বর্ণিত, নাবী (সা) বলেছেন : পাঁচ ওয়াক্ত সালাত এক জুমুআহ হতে আরেক জুমুআহ এবং এক রামাযান থেকে আরেক রামাযান এর মধ্যবর্তী সগীরা গুনাহের কাফ্ফারা যদি কবিরা গুনাহ বর্জন করা হয়। (সহীহ মুসলিম হা: ২৩৩) (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।