পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বিষয়ক বিশেষ দূত গ্যাব্রিয়েল ভিসেন্টিন ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বলেছেন, যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। আমরা কেউই যুদ্ধ চাই না। যে কোনো পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রত্যাশা করছি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ-ডিকাবের উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ইইউ’র ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক বিশেষ দূত গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধের মতো কেন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না এমন এক প্রশ্নের উত্তরে গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন বলেন, যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। আমরা কেউই যুদ্ধ পরিস্থিতি চাই না। যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। বিশ্বজুড়ে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। সাধারণ জনগণ ফলাফল ভোগ করছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে বাংলাদেশ ভোট দিয়েছে। সে কারণে আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ দূত বলেন, আমরা এই যুদ্ধের সমাপ্তি চাই।
বাংলাদেশের সঙ্গে সমুদ্র নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারের জন্য নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তিনি বলেন, ইইউ’র ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে নিরাপত্তা উপাদান আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ইস্যুতে ইইউ যোগাযোগ রাখছে। গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন বলেন, নিরাপত্তা সফটওয়্যার ক্রিমারিও ব্যবহার করার প্রস্তাব করেছে ইইউ। সমুদ্রে কি ঘটছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক তথ্য প্রদান করার সফটওয়্যার হচ্ছে ক্রিমারিও। এর অনেক ব্যবহার আছে। নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড এটি ব্যবহার করতে পারবে। এটি আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে এবং আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।
ভিসেনটিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইয়াজ (মুর্শিদ কাজী) আমাকে সরাসরি একটি প্রশ্ন করেছেন। সেটি হচ্ছে ইইউ’র কমন সিকিউরিটি এবং ডিফেন্স পলিসিতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য ভূমিকা কী হতে পারে। আমি ব্যাখ্যা করে বলেছি, এখানে সহযোগিতা সম্ভব।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে এ অঞ্চলে ভিয়েতনামের সঙ্গে আমাদের সমন্বিত চুক্তি আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে এটি হওয়ার জন্য আমরা কেন বিবেচনা করবো না। ইন্দো-প্যাসিফিকের সাতটি উপাদান আছে এবং এগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য কোনও পক্ষের সঙ্গে চুক্তি করার কোনও প্রয়োজন নেই। উপাদানগুলো পড়ে এবং বুঝে উপযুক্ত মনে হলে ইইউ’র সঙ্গে কাজ করতে পারে যেকোনও দেশ বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সাতটি উপাদানেই কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশটির অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে এবং ইইউ’র সঙ্গে ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সম্পর্কে এর একটি প্রভাব পড়বে। উভয়পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও কাজ করছে জানিয়ে ইইউর বিশেষ এই দূত বলেন, আমরা সমুদ্র নিরাপত্তা ও সুশাসন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সক্ষসতা বৃদ্ধি, আনক্লজসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছি।
রোহিঙ্গা বিষয়ে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কোনও দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়, বরং এটির সমাধান বৈশ্বিকভাবে করতে হবে। এজন্যই এর সঙ্গে জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জড়িত। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিকাব প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।