Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নওগাঁয় ৩ কিলোমিটার বেহাল রাস্তায় থমকে আছে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৩ এএম

নওগাঁর রাণীনগরের বড়গাছা ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ গহেলাপুর-কাটরাশইন হাটখলা যাওয়ার রাস্তা বেহাল হওয়ার কারণে থমকে আছে এই অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা। মাত্র তিন কিলোমিটার সড়কটি এখন এই অঞ্চলের মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।

জানা গেছে, উপজেলার কাটরাশইন, উমরপুর, পোঁওয়াতাপাড়াসহ ৮-১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা হচ্ছে গহেলাপুর-কাটরাশইন রাস্তা। নব্বইদশকে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গহেলাপুর বাজার থেকে কাটরাশইন হাটখোলায় যাওয়ার জন্য এই তিন কিমি. রাস্তা নির্মাণ করা হয়। সেই সময় রাস্তাটির গহেলাপুর থেকে এক কিমি পর্যন্ত পাকা করা হয় আর অবশিষ্ট রাস্তায় ইট বিছানো হয়। কিন্তু পরবর্তিতে বছরের পর বছর রাস্তাটি সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় বর্তমানে শুকনো মৌসুমেও চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাস্তার কিছুু কিছু অংশ থেকে ইট উধাও হয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তে, ফলে পায়ে হেটে পার হওয়াই কষ্টকর। এ কারণে এই অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষ তাদের কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য উপকরণ পরিবহন করতে পারছেন না। এমনকি ভ্যান গাড়িও চলাচল করতে পারছে না। যে কারণে কৃষকরা বাধ্য হয়েই ধানসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণগুলো কম মূল্যে ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করছেন এতে করে কৃষকরা নায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বছরের পর বছর। এছাড়াও রাস্তাটির পাঁচবাড়িয়া নামক স্থানের একটি কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ায় রাস্তার দুর্ভোগের মাত্রাকে আরো একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। রাস্তাটি ভালো না হওয়ায় শুকনো ও বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলের শত শত শিক্ষার্থীদের দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
কাটরাশইন গ্রামের মন্টু সেপাই, মিলন হোসেনসহ অনেকেই বলেন, আমরা এই অঞ্চলের মানুষ এখনোও চরম অবহেলিত। এই সামান্য গ্রামীণ রাস্তাটিকে দ্রুত আধুনিকায়ন করে এই অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা সচল করতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মাষ্টার বলেন. আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর এই রাস্তাটি মেরামত করার বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করবো। বরাদ্দ পেলেই মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. শহীদুল হক বলেন, এই রাস্তাটি উপজেলা পরিষদ তৈরি করেছিলো। তাই উপজেলা প্রশাসন চাইলেই বরাদ্দ দিয়ে এই জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ রাস্তাটি মেরামত কিংবা সংস্কার করতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, আমি রাস্তাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত তা সংস্কার কিংবা মেরামত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ