Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : আইসিটি শিক্ষকদের আবেদন

প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

২০১২ সালে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি আবশ্যিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সরকারের এই মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন ৫ হাজার ৭২ জন শিক্ষক। অথচ তাঁরা ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনা বেতনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পাঠদান করে আসছেন। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁদের বেতনভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও কোনো প্রতিষ্ঠানই এতে আগ্রহী নয়। ফলে তীর্থের কাকের মতো শিক্ষকবৃন্দ চেয়ে আছেন সরকারের দিকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত বছর ২৮ এপ্রিল এক পরিপত্র জারি করে এবং তাতে বলা হয় ‘পরবর্তী সিন্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বেতনভাতাদি স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।’ আক্ষরিক অর্থে এটি এক ধরনের প্রতারণাও বলা যায়। যেখানে এমপিওভুত্ত শিক্ষকদের বেতন প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে সেখানে আইসিটি শিক্ষকদের আশার আলো দেখিয়ে আবার নিরাশ করা হয়েছে। তবে আশার কথা এই যে, এ বছরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় আইসিটি বিষয়সহ বিজ্ঞান ও চারুকলা বিষয়ের ১৮ হাজার ২৮৩ জন শিক্ষাকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজও প্রায় শেষ হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এত কিছুর পরও শিক্ষকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। তীরে এসে তরি ডুবে যাবে না তো? পরিশেষে, আমাদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় এনে যথাশীঘ্র সম্ভব এমপিওভুক্তির জন্য সকারে কাছে সনির্বন্ধ আবেদন জানাচ্ছি।
মিহির রঞ্জন তালুকদার
শিক্ষক, বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, বালাগঞ্জ, সিলেট।

ডিপিডিসি কর্তৃক লোড বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত টাকা আদায় প্রসঙ্গে
একজন বিদ্যুৎ গ্রাহক হিসেবে আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ ৬ কিলোওয়াট সুবিধা নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছি এবং নিয়মিত বিলও পরিশোধ করছি। কিন্তু গত অক্টোবর মাসে আমার বিলের সাথে একটি বাড়তি-লোড বৃদ্ধিকরণ বিল দেয়া হয়েছে। এর জন্য মূল্য ধরা হয়েছে-৪৭৫০ টাকা। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, আমার একটি মিটারের পুরনো দেয় লোড ছিল ৬ কিলোওয়াট-এর সাথে ১ কিলোয়াট বাড়িয়ে মোট ৭ কিলোয়াট করা হয়েছে। আমি নতুন বৃদ্ধি লোড-এর মূল্যে দিতে আগ্রহী। প্রতি লোড বৃদ্ধি মূল্যে-১০০০ টাকা। মানে ৭দ্ধ১০০০=৭০০০ টাকা। এখান থেকে বাদ দিতে হবে ৬দ্ধ৩৭৫=২২৫০ (পুরনো দেয় লোড থেকে) ৭০০০-২২৫০=৪৭৫০ টাকা (বিল বাবদ দেয়া হয়েছে)।
কিন্তু পুরনো দেয় লোডের জন্যে আবার নতুন করে কেন টাকা দিতে হবে? এটাতো নতুন সার্কুলার। আমি যদি নতুন করে ৭ কিলোওয়াট সংযোগ নেই তবেই অতিরিক্ত টাকা আদায়ের তাগিদ দেয়া যেতে পারে। পুরনো ব্যবহৃত লাইনের জন্যে নতুন করে অতিরিক্ত ফি আদায় অসঙ্গত ও অন্যায় বলে মনে করি। অতএব, বিনীত নিবেদন, বিষয়টি দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে জানালে বাধিত হবো।
মোঃ মাহবুবুর রহমান
একজন ভুক্তভুগী বিদ্যুৎ গ্রাহক, উত্তর কমলাপুর, ঢাকা।

ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে বিশ্রামাগার চাই
রেলওয়ের পেনশনধারীগণ যাতে দু-তিন ঘণ্টা বসে থেকে মাসিক পেনশন সংগ্রহ করতে পারেন সেজন্য ঢাকা স্টেশনে একটি বিশ্রামাগার রয়েছে। ময়মনসিংহ স্টেশনেও তেমন একটি বিশ্রামাগার প্রয়োজন। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ২০১১ সালে আবেদন করা হয় এবং তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি মিললেও পেনশনধারীদের বসবার জন্য আজো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে ময়মনসিংহ স্টেশন মাস্টারের রুম ও পুরাতন প্রথম শ্রেণির বিশ্রামাগার দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। অতীব দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, ময়মনসিংহ স্টেশনের পেনশন অফিসে কয়েকজন মহিলা প্রবেশ করলে তাদেরকে অফিস থেকে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা কত বড় একটা লজ্জা ও অপমানজনক ব্যবহার। বিশ্রামাগার থাকলে মহিলারা অফিসে ঢুকতেন না। প্রসঙ্গত, স্টেশনে প্লাটফর্ম এলাকায় বিশ্রামাগার বাদে বাকি কক্ষগুলো দাফতরিক কাজে ব্যবহার হয়। পেনশনধারীগণ বয়োবৃদ্ধ ও অধিকাংশই অসুস্থ। তাদের জন্য ময়মনসিংহ স্টেশনের প্রথম শ্রেণির পুরাতন। বিশ্রামাগারটি প্রয়োজনীয় মেরামত করে দেবার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
যোসেফ সি আর কর্মকার
সভাপতি, রেলওয়েম্যান্স (অব) কল্যাণ পরিষদ,
ময়মনসিংহ শাখা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিঠিপত্র : আইসিটি শিক্ষকদের আবেদন
আরও পড়ুন