পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতির মৃত্যু এত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক, যে মেনে নেওয়া যায় না। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এবং আমরা তাদের পাশে আছি সেটা জানানোর জন্যই আমাদের পাঠিয়েছেন।
গত ২৪ মার্চ রাতে ঢাকার শাহজাহানপুরে গুলিতে নিহত রিকশারোহী কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতির শান্তিবাগের বাসায় গিয়ে তার মা-বাবাকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সমবেদনা জানিয়ে সাংবাদিকদের এ কথাই বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে সাথে নিয়ে রাজধানীর শাহজাহানপুরে শান্তিবাগে সামিয়াদের বাসায় যান ড. হাছান মাহমুদ। সামিয়ার বাবা জামাল উদ্দিন, মা হোসনে আরা ও এসএসসি পরীক্ষার্থী ছোট ভাই সোহায়েব সামির সাথে একান্তে কথা বলেন তারা। অশ্রুসিক্ত সামিকে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখেন তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে, দলের পক্ষ থেকে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি। যে কোনো প্রয়োজনে আমাদের দল, আমাদের সরকার তাদের পাশে থাকবে। মন্ত্রী বলেন, ‹ইতোমধ্যেই মূল আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে। একই ঘটনায় আমাদের দলের একজন নেতা মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহত ছাত্রী সামিয়ার পরিবার মামলা না করলেও জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী মামলা করেছেন। সেই মামলার এজাহারে প্রীতির হত্যাকান্ডের কথা উল্লেখ আছে। আইনানুযায়ী একই ঘটনায় দুটি মামলার প্রয়োজন নেই। মূল আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে, যারা তার সাথে ছিলো তারাও পুলিশের জালের মধ্যে আছে। আমরা আশা করি তারাও খুব সহসা গ্রেপ্তার হবে। যথোপযুক্ত বিচার করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। সামিয়ার মা-বাবার আরেকটি সন্তান প্রীতির ছোট ভাই এসএসসি পরীক্ষা দেবে, তার সাথেও আমাদের কথা হয়েছে আমরা এখান থেকে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিস্তারিত জানাবো› উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।
সরকারের কাছে সামিয়ার পরিবার কোনো সাহায্যের আবেদন করেছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা সরকারের কাছে এখনো আবেদন করেনি, আমরা এ বিষয়টি দেখার জন্য আমাদের কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দিয়েছি এবং সরকারের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।