পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন করা সম্ভব না হলে উন্নত ঢাকা গড়ে তোলাও সম্ভব হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প-২০২১ তিনি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদেরকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত করেছেন। তিনি আমাদেরকে রূপকল্প-২০৪১ এর মাধ্যমে যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দিয়েছেন। সেই উন্নত বাংলাদেশের উন্নত রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়তে হলে বিশাল নারী নারী সমাজ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নত, মানসম্পন্ন জীবন নিশ্চিত করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করা না গেলে উন্নত ঢাকা গড়া সম্ভব হবে না।
গতকাল বুধবার দুপুরে কামরাঙ্গীরচরের বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ সিটির ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১১০ জন প্রান্তিক নারীর মাঝে ব্যবসায়ীক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, প্রকল্পে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীকে স্বাবলম্বী করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা শহরে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ মানুষ বাসবাস করে। এই বিরাট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই হলো নিম্ন ও নিম্ন-মাধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠী। তাদের মধ্যে নারীরা একটি বিরাট অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা শহরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এই প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা শহরের নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের নারীদেরকে আমরা ক্ষমতায়ন করতে চাই। তাদের দারিদ্রতা বিমোচন করতে চাই। আমরা তাদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বাবলম্বী করতে চাই।
অনুষ্ঠানে পর্যায়েক্রমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীর মাঝে এই ব্যবসায়িক অনুদান বিতরণ করা হবে বলে জানান মেয়র শেখ তাপস। অনুষ্ঠানে ১০ হাজার টাকা করে ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১১০ জন মহিলার মাঝে মোট ১১ লাখ টাকা ব্যবসায়ীক অনুদান বিতরণ করা হয়।
এর আগে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দোলাইরপাড়ে ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য সম্ভাব্য অন্তর্বতীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ, অঞ্চল-১০ অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের স্টাফ কোয়ার্টারে খেলার মাঠ ও বহুতল ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ, এলআইইউপিসি প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার ডা. সোহেল ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।