পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অস্কারজয়ী ‘স্লাম ডগ মিলিয়নার’ সিনেমার জয় হো..., দিল সে..., খোয়াজা মেরে খোয়াজা..., তুহি রে...- এরকম শ্রোতাপ্রিয় গান দিয়ে তার বিশাল শিল্পীগোষ্ঠী নিয়ে মঞ্চ মাতাবেন এ আর রহমান, যে কোনো কনসার্টে এটা তার স্বাভাবিক রুটিন। তবে যার জন্য এই আয়োজন সেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অস্কারজয়ী শিল্পীর বিশেষ গান ‘এক দোস্ত মুজিব হে দিল মে...’ যেন মুহূর্তেই পাল্টে দিল মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পরিবেশ। বৃষ্টিতে কাকভেজা শরীর আর ক্লান্ত মন থেকে যেন ক্ষণিকের জন্য ছেড়ে গেল সকল অবসাদ আর বিরক্তি। এমনই এক সন্ধ্যায় হোম অব ক্রিকেটে উপস্থিত ছিলেন খোদ বঙ্গবন্ধুকন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ আর রহমান মানেই ভিন্ন কিছু। সারা বিশ্বের যে প্রান্তেই তিনি পা রেখেছেন, দর্শকের উন্মাদনা দেখা গেছে সবদিকে। ঢাকায় তার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা নতুন কিছু নয়। ক্রিকেটীয় নানা উৎসবে এর আগেও মিরপুরে দেখা গেছে এই মহাতারকাকে। ২০১৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের আগেও কনসার্টে গেয়েছেন তিনি। এবার মহান এক আয়োজনে ফের বাংলাদেশে পা রেখেছেন অস্কারজয়ী উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই সঙ্গীত শিল্পী। উপলক্ষ্য, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিসিবির আয়োজনে কনসার্ট ‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব ১০০’। বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রুমানা মালিক মুনমুনের সঞ্চালনায় এ কনসার্ট শুরু হয়। তবে এ আর রহমানের সুরের মূর্ছনায় বুঁদ হবার আগেই মঞ্চ মাতিয়ে গেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস ও দেশের ফোকসম্রাজ্ঞী মমতাজ। রাত সাড়ে ৮টায় কনসার্টে এসে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আসার পরপরই শুরু হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনা। বিসিবির প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে গোটা কনসার্ট উপভোগ করেন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী।
বিকেলে কনসার্ট শুরুর পর প্রথম পারফর্ম করে ব্যান্ডদল মাইলস। এরপর আসেন মমতাজ বেগম। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বৃষ্টি বাধায় থেমে যায় কনসার্ট। বৃষ্টির পর আবার কনসার্টের মঞ্চে ওঠেন মমতাজ। ফের রাতে আরেক পষলা বৃষ্টিতে বিলম্বিত হয় কনসার্ট। অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে আসে সেই ক্ষণ। মঞ্চে ওঠেন আসরের প্রাণ এ আর রহমান। রাত ১২টা পর্যন্ত প্রায় ২০০ সহশিল্পী নিয়ে অস্কারজয়ী এই সংগীতশিল্পী টানা পারফর্ম করে যান তুহি রে..., চল ছাইয়া ছাইয়া ছাইয়াসহ নিজের সেরা সব গান। পুরো দল মিলে ৩৫টির মতো গান পরিবেশনের কথা রয়েছে তার। গেয়েছেন বাংলা গানও। যার মধ্যে আছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নিজের লেখা একটি গানও।
এর আগে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর বৃষ্টি শুরু হলে মাঠে থাকা দর্শকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বিভিন্নভাবে তারা বৃষ্টি থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ চেয়ার উল্টো করে বৃষ্টি থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন। কেউবা ব্যাগ, কেউবা ককশিটের বক্স মাথায় দিয়ে বৃষ্টি থেকে নিজেদের রক্ষা করেন। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর গোল্ড আর প্লাটিনামের দর্শকরা মাঠে ঢুকতে শুরু করেন। তবে ফোমের চেয়ার হওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। গোল্ড ক্যাটাগরির চেয়ার বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে পানি জমে যায়।
মুজিববর্ষ উদযাপনে ২০২০ সালের ২২ মার্চ কনসার্ট এবং বিশ্ব আর এশিয়া একাদশের মধ্যে দুটি প্রীতি টি২০ ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। সব ধরনের প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছিল বোর্ড। এ আর রহমানের মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টও ঢাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় শেষ মুহূর্তে কনসার্ট স্থগিত করা হয়। করোনা এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কারণে ২০২১ সালেও পুনরায় কনসার্ট করা সম্ভব হয়নি। দেরিতে হলেও দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরার পৃষ্ঠপোষকতায় শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখল ‘ক্রিকেট সেলিব্রেট মুজিব ১০০’। এ জন্য বিসিবির খরচ হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।