পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্য দূত রুশনারা আলী বলেছেন বেসরকারি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। গতকাল মঙ্গলবার গুলশান সেন্টারে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটেনের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, এপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, এসবিকে টেক ভেঞ্চার-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মিরান আলী এবং ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মইনউদ্দিন হাসান রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
রুশনারা আলী বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে বাংলাদেশের বেশ সাফল্য রয়েছে। তবে এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় খুবই জরুরি। বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণকে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
দুদেশের বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের পার্টনারশিপ সুদৃঢ়করণের ওপর তিনি জোরারোপ করেন। সেইসঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসনে সক্ষম হলে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেশটির দারিদ্র্য বিমোচনে কতটা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, সেটা নিরূপনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ২০২১ সালে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশে ব্রিটেনের বিনিয়োগ প্রায় ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি জানান, ব্রিটেন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রফতানি গন্তব্য এবং আশা প্রকাশ করেন, সামনের দিনগুলোতে রফতনির এ ধারা আরও বৃদ্ধি পাবে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্রিটেনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাদুকা, হালকাণ্ডপ্রকৌশল, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পণ্য শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার ২০২৯ সালের পরও বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করেন। এছাড়াও ব্রিটেনে রফতানির ক্ষেত্রে রুল অব অরিজিন সুবিধাকে আরও সহজীকরণ ও বর্ধিতকরণেরও প্রস্তাব করেন। সেইসঙ্গে কৃষি ও খাদ্যপণ্য রফতানি সম্প্রসারণে বিদ্যমান ‘টেকনিক্যাল ব্যারিয়ার্স টু ট্রেড (টিবিটি)’ হ্রাসের আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।