পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে মেগা প্রকল্পের নামে সরকার মেগা দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আজকে প্রকল্প যা দেখছে- দেশপ্রেমের কোনো মূল্য নেই।
আজকে উন্নয়নের নামে দেশে মেগা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে। লাখ টাকার প্রকল্প কোটি টাকা দিয়ে করা হচ্ছে, বিদেশীদের খুশি করা হচ্ছে। বিনিময়ে পর্দার অন্তরালে যে লেনদেনটা হচ্ছে, আপাতত জনগণ দেখছে না, খুঁজছে না। নিকট ভবিষ্যতে দেশের মানুষ দীর্ঘ ঋণে আক্রান্ত হবে এবং এই ঋণ পরিশোধ করার তাদের ক্ষমতা থাকবে না।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক উইংয়ের উদ্যোগে ‘সুন্দরবন : সর্বনাশের আর এক নাম রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। এতে পাওয়া পয়েন্ট দিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানবিষয়ক বিশেষজ্ঞ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল আজিজ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রতিরোধ রাজনৈতিক বিবেচনায় মাঠে নামার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
ঢাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্প দীর্ঘ করার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। যারা কন্ট্রাক্টারি করেন সরকারের সাথে চুক্তি করে নির্ধারিত সময় যদি কাজ সম্পন্ন করতে না পারে, তাহলে কার্যাদেশ বাতিল হয় এবং যে জামানতের টাকা জমা থাকে, তাও বাতিল করা হয়। অথচ শেখ হাসিনার দেশে কি সুন্দর যত দেরি, তত টাকা বাড়ে। যতবার সময় বাড়ে, ব্যয়ও বাড়ে।
রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর অভিহিত করে গয়েশ্বর বলেন, এই প্রকল্প দেশের স্বার্থবিরোধী। অন্য দেশকে খুশি করার জন্য করা হয়েছে। আজকের সরকার দেশকে নিয়ে আজ বাজি ধরেছে, বাজিমাৎ করছে।
তিনি বলেন, দেশটাকে বাঁচাতে হবে, সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে। সুন্দরবন ধ্বংস মানে বাংলাদেশকে ধ্বংস করা। তাই রামপাল প্রকল্প প্রতিরোধে আমাদের মাঠে নামা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, বন ও পরিবেশবিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুুল আউয়াল খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।