Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উত্তরাঞ্চলে মৌসুমী দারিদ্র বাড়ছে

বিআইডিএস’র গবেষণা প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশে বর্তমানে মৌসুমী দারিদ্র প্রধান চ্যালেঞ্জ। মৌসুমি দারিদ্র নিরসনে ক্ষুদ্র ঋণ অন্যতম ভূমিকা রাখতে পারে। উত্তরবঙ্গের তিন জেলা বিশেষ করে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটে মৌসুমী দারিদ্র বিশেষ। এই জেলার ভূমিহীনদের ২৫ শতাংশ নিয়মিত খেতে পারে না। তাদের নিয়মিত কাজ থাকে না ফলে মৌসুমী দারিদ্র হয়ে যায়। অতিদারিদ্রর এই সময়ে অভিবাসন একটা সমধান হতে পারে। কিন্তু তারা অভিবাসন হতে পারে না কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত টাকা থাকে না। নেপালে মৌসুমী দারিদ্রদের ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এই টাকা নিয়ে নেপালের মৌসুমী দারিদ্র জনগোষ্টী কাজের জন্য ভারতের যায় এবং বড় টাকা আয় করেছিল। একইভাবে বাংলাদেশে এই পদ্ধতি চালু করা যায় মৌসুমী দারিদ্র নিরসমনে। যদি মৌসুমী দারিদ্র জনগোষ্ঠীর হাতে ৭ হাজার টাকা দেয়া হয় তবে তারা এই টাকা থেকে ২৬ হাজার টাকা আয় করে ঘরে ফিরতে পারবেন। গতকাল সোমবার ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) সিজনাল প্রভার্টি, ক্রেডিট অ্যান্ড রেমিটেন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট জেলা থেকে স্যাম্পল নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আগস্ট ২০১৫ থেকে জুলাই ২০১৬ মেয়াদে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানেও এসব অঞ্চলে একই অবস্থা চলমান। প্রতিবেদনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রফেসর আহমেদ মুশফিক মোবারক।

প্রফেসর আহমেদ মুশফিক মোবারক বলেন, মৌসুমী দারিদ্র বাংলাদেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। আমি যে ডেটাগুলা দেখালাম মৌসুমী দারিদ্র। উত্তরবঙ্গের ২৫ শতাংশ মানুষ ঠিক মতো খেতে পারছে না। যদি তিন বেলা খেতেও পায় তবুও খাবারের পরিমাণ কম। প্রটিন পায় না, খাদ্য নিরাপত্বা থাকে না। তারা সব সময় খাদ্য ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে। এই অবস্থা বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে, নেপালে পাওয়া যাচ্ছে এবং ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যাচ্ছে। এট খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। মৌসুমী দারিদ্র বাংলাদেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তবে তিনটা জেলার মধ্যে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার অবস্থা খারাপ। তিনি আরো বলেন, আমি ২০২০ সালে প্যানডামিকের মধ্যেও ডেটা কালেক্ট করে দেখেছি। ২০০৭ সালে যে সমস্যা দেখা গেছে তা ২০১৬ ও ২০২০ সালেও দেখা গেছে। ভূমিহীন দারিদ্রের ২৫ শতাংশ নিয়মিত খেতে পায় না। ২৫ শতাংশ যারা নিয়মিত খেতে পারছে না তারাই মৌসুমী দারিদ্র। তবে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাস ভূমিহীনদের ৫০ শতাংশ মানুষ খেতে পারছে না।

মৌসুমী দারিদ্র নিরসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই তিন জেলায় কাজ থাকে না। কিন্তু অন্যান্য এলাকায় কাজ পাওয়া যায়। এই জন্য মাইগ্রেশন করতে হবে। মাইগ্রেশন করতে গেলে কিছু টাকা দিতে হবে যারা মৌসুমী দারিদ্রের শিকার হয়েছেন। এমনভাবে লোনটা দিতে হবে যখন কাজ করে ফেরত আসবে তখন টাকা ফেরত দিতে হবে। তবে অন্যান্য ক্ষুদ্র ঋণের মতো এটা হবে না। এসব মানুষদের সময় দিতে হবে। কারণ এরা তো কোন ব্যবসা করছে না। কারণ এরা এই টাকা নিয়ে মাইগ্রেশন হবে কাজের জন্য। সুতরাং এদের সময় দিতে হবে।

এসময় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক (ডিজি) বিনায়ক সেন উপস্থিত ছিলেন। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দারিদ্র বাড়ছে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ