Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়

স্বাধীনতা দিবসে ফুলেল শ্রদ্ধায় শহীদদের স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২২, ১২:৪৮ এএম

জনগণের ভোটের অধিকার, আইনের শাসন ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ের মধ্যদিয়ে গতকাল মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধে ‘শহীদ’ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে গোটা জাতি। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ করে। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের মধ্যদিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ঘটে। যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে নানান কর্মসূচি পালিত হয়। গতকাল শনিবার প্রত্যুষে রাজধানীতে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল সকালে সাভার স্মৃতিসৌধে নেমেছিল জনতার ঢল। সাভার স্মৃতিসৌধের বাইরেও বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা শহর, ইউনিয়ন পর্যায়ের হাটবাজার, স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস উদপাপন করা হয়।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করতে কাকডাকা ভোর থেকেই বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে হাজির হন বিভিন্ন রাজনৈতিক, শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ। সবাই বিভিন্ন সেøাগান দিয়ে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার জয় বাংলা সেøাগান বেশি শোনা গেছে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা লোকজনের মুখে। হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা মিলনমেলায় পরিণত হয়। সবার চাওয়া ছিল দুর্নীতিমুক্ত দেশ, আইনের শাসন এবং জনগণের ভোটের অধিকার। বিভিন্ন পেশাজীবী ও রাজনীতিক স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন সেই সমতা, সামাজিক ন্যায় বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করাই হোক আজকের অঙ্গীকার। অর্থনৈতিকভাবে দেশ অনেকদূর এগিয়েছে; কিন্তু মানুষের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠা হয়নি। পাকিস্তান আমলে ছিল ২২ পরিবার; স্বাধীনতার ৫০ বছর পর দুর্নীতি, লুটপাট দেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে ২২ পরিবার এখন ২২ হাজার পরিবার করেছে। মাথাপিছু আয় বাড়লেও মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়ে গেছে। গড় আয়ু বাড়লেও এখনো লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্ছিত।

লাল-সবুজের শাড়ি পরে অনেক নারী আসেন জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করতে। হাতে ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন অনেক স্কুল শিক্ষার্থীও। রঙ বেরঙের পাঞ্জাবি পরে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সি পুরুষ। সকাল ১০ টার মধ্যেই ফুলে ভরে যায় স্মৃতিসৌধ।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সবার আগে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে। পরে, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরাও স্মৃতিসৌধে ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুসসোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পরপরই সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক। জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক খুলে দেয়ার সাথে সাথে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। এসময় বিএনপি, জাতীয় পার্টি, গণফোরাম, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ, সিপিবি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ এ ছাড়াও জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলসমূহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমুহ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, বাসদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাভার সিটিজেন ক্লাব, গণবিশ্ববিদ্যালয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ-৭১, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, বাংলা একাডেমি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, জাতীয় প্রেসক্লাবসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বীর শহীদদের প্রতি।

সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরে শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসাবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ সুসজ্জিত করা হয় জাতীয় পতাকায়। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনেও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোকচিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সড়কে অলঙ্করণ, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে উৎসবমুখর পরিবেশে।
গতকাল ছিল সরকারি ছুটি। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা ও নিবন্ধ প্রকাশ করে।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবছরের মতো এবারও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মোহাম্মদপুরে শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ যোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও সকাল ৮টায় তেজগাঁও গির্জায়, রাত ১২ টা ১ মিনিট (২৫ মার্চ দিবাগত) মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ (৩/৭-এ সেনপাড়া, পবর্তা, মিরপুর-১০)-এ খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করে ।

ইনকিলাবের সাভার প্রতিনিধি সেলিম আহমেদ জানান, সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরের ইকবাল সিদ্দিকী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ৬০ ফিট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট জাতীয় পতাকা নিয়ে হাজির হন। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, এই আইডিয়া আমাদের শিক্ষার্থীদের মাথা থেকেই এসেছে। তরুণ শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে জানার যে স্পৃহা সেটা নিবারণে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যে লক্ষ্য, স্বপ্ন আর আশা-আকক্সক্ষা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম তা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও জনগণের ভোটের অধিকার নেই। তাদের স্বাধীনতা নেই, সংগঠনের অধিকার নেই। বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে একটি ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের কবলে পড়েছে। দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা এমন সময় স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করছি, সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। যে সময় বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ হয়ে আছেন। ৩৫ লাখ গণতন্ত্রকামী নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ৬০০ এর বেশি নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। সহস্রাধিক নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন। কী একটা ভয়াবহ, দুর্বিষহ স্বৈরাচারীর কবলে দেশ আজ রয়েছে।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুন নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, আমিনুল হক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানানো শেষে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ২৫ মার্চ গ্রেফতার হওয়ার আগে এক গোপন বার্তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর ফলশ্রুতিতেই ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় আনতে পেরেছিলাম। আমাদের আজকের প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের এই ইতিহাস চর্চা করবে, বাংলার সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্যের উন্মেষ ঘটাবে এবং আমাদের বাঙালি জাতি হিসেবে যে ঐতিহ্য সামনের দিকে একটা প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়বে।

পরে পর্যায়ক্রমে জাতীয় স্মৃতিসৌধ বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাভার সিটিজেন ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ইউজিসি’র শ্রদ্ধা নিবেদন
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। এসময় ইউজিসি চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) ও সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক ও অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম দস্তগীরসহ ইউজিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকল কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে ভিসির নেতৃত্বে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এসময় প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, ট্রেজারার প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, প্রক্টর প্রফেসর ড. একেএম গোলাম রব্বানীসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। পরবর্তীতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ভিসির নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। গতকাল শনিবার সকালে তারা রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল গার্ড অব অনার দেয়; বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শহীদ পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর একে একে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজি ও বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন নেতারা এবং বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক নেতারা শহীদ পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত বীর পুলিশ সদস্যরা পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প :
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইনসাফ বারাকাহ কিডনি এন্ড জেনারেল হাসপাতালের উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন বিষয়ের ডাক্তাররা বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ দেন। মেডিক্যাল ক্যাম্পে সিরাম ক্রিটিনাইন ও ইউরিন আরই পরীক্ষা ফ্রি করা হয়। ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারাকাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, ইনসাফ বারাকাহ কিডনি এন্ড জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা. এম ফখরুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন এবং ইনসাফ বারাকাহ কিডনি এন্ড জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্টসহ আরো অনেকে। ক্যাম্পটি দিনভর পরিচালিত হয়। হাসপাতালের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ চেম্বারে ফ্রি রোগী দেখেন। এছাড়া ফ্রি হেলথ চেকআপসহ প্যাথলজি পরীক্ষায় মেডিক্যাল ক্যাম্প উপলক্ষে বিশেষ ছাড় দেয়া হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ৫৫০ জন সাধারণ মানুষ ও রোগীরা ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের সেবা গ্রহণ করেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
‘২৬ মার্চ’ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনু্ষ্িঠত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা ‘২৬ মার্চ’ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। উক্ত সভায় মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভা শেষে মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে বাদ যোহর গণভবন জামে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। Ñআইএসপিআর

জেডআরএফের শ্রদ্ধাঞ্জলি
গতকাল শনিবার সকালে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। এসময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো: মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, সদস্য সচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকন, অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, শফিউল আলম দিদার, সানোয়ার আলম, অধ্যাপক ড. নূরুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম, আসিফ হোসেন রচি প্রমুখ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : দেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের যে অঙ্গীকার ছিল তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ যে ভিত্তির উপরে সংগঠিত হয়েছিল, সে সকল বিষয়গুলো আজ চরমভাবে উপেক্ষিত। তিনি বলেন, ৩১ মার্চের জাতীয় মহাসমাবেশ নিয়ে কোনো টালবাহানা করলে তার পরিণতি ভালো হবে না। যেখানে বাধা হবে সেখানেই সমাবেশ হবে।

গতকাল শনিবার বিকেলে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মিলনায়তনে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম। গভায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

জমিয়তুল মোদার্রেছীন বৃহত্তর ফরিদপুর : জমিয়তুল মোদার্রেছীন বৃহত্তর ফরিদপুর শাখার উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ফরিদপুরের ভাংগাস্থ ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল মাদরাসা মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবসের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি ও মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মো. আবু ইউছুফ মৃধার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, সহকারী অধ্যাপক মো. কামাল হোসেন, প্রভাষক মো. ফারুক হোসেন ও সহকারী শিক্ষক মো. কুব্বত আলী সরদার। পরিশেষে শিক্ষার্থীদের জন্য কবিতা আবৃত্তি, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বলেছেন, ৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম ইসলাম ও কুফরের ভিত্তিতে ছিলো না। ছিলো জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। গতকাল সকালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দুআ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পুরানা পল্টনস্থ দারুল খিলাফাহ মিলনায়তনে মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুফতি নূর মোহাম্মদ আজিজীর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মাওলানা আতিক উল্লাহ ও মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল।

ইসলামী ঐক্য আন্দোলন : মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫০ বছর পার হয়ে গেলেও দেশের এবং দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়নি। মানুষের জান-মাল, ইজ্জত-আবরুর, ঈমান-আকিদা সুরক্ষিত হয়নি। শনিবার বাদ আসর ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলনায়তনে নগর আমীর মোস্তফা বশীরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আন্দোলনের নায়েবে আমীর ড. মাওলানা মুহাম্মদ এনামুল হক আজাদ, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা, আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, মাওলানা কাজী আবু বকর সিদ্দিক।



 

Show all comments
  • jack ali ২৭ মার্চ, ২০২২, ৫:১৬ পিএম says : 0
    Only Quranic law can eliminate all the criminal activates from our sacred country. Enemy of Allah ruler have destroyed our country and also people's morality.
    Total Reply(0) Reply
  • তাওহীদুল ইসলাম মিনহাজ ২৭ মার্চ, ২০২২, ৭:৪৪ এএম says : 0
    ♥♥♥অভিনন্দন ও শুভ কামনা রইল, জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু♥ পরম শ্রদ্ধেয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস, তোমাদের এই ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না না না,, সকল শহীদের আত্মার প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।
    Total Reply(0) Reply
  • Hossion Md Sujan ২৭ মার্চ, ২০২২, ৭:৪৫ এএম says : 0
    জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় শেখ হাসিনা জয় বাংলাদেশের মেহনতি মানুষের
    Total Reply(0) Reply
  • Ekhtiar Uddin Shawpon ২৭ মার্চ, ২০২২, ৭:৪৫ এএম says : 0
    অভিনন্দন ও শুভ কামনা সব সময়, জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু পরম শ্রদ্ধেয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Kamal Hossain ২৭ মার্চ, ২০২২, ৭:৪৬ এএম says : 0
    Greetings of the 52st Independence & National Day of Bangladesh.Rich tributes to Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, four national leaders and those fought for the freedom of our motherland.
    Total Reply(0) Reply
  • Sohel Rana ২৭ মার্চ, ২০২২, ৭:৪৬ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ। বেকার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনশক্তিতে পরিনত করতে আপনাদের মর্জি হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Saleha Begum ২৭ মার্চ, ২০২২, ৭:৪৬ এএম says : 0
    অভিনন্দন ও শুভ কামনা সব সময়,
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rustom Ali ২৭ মার্চ, ২০২২, ৭:৪৭ এএম says : 0
    একুশ শতকের রোল মডেল শেখ হাসিনা এগিয়ে চলো। রাজনীতিতে আর কোন যোগ্য ব্যক্তি নজরে পরে না। যে যা পায় তা ভক্ষনে ব্যস্ত। আপনাকে আল্লাহ হায়াতে তৈয়বাহ দান করুন। দেশকে গড়ে দিন। এগিয়ে চলুন শেখ হাসিনা। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় শেখ হাসিনা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ