পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে বুধবার সকালে কানাডা-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অডিটরিয়ামে “কানাডা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ, এ জার্নি অফ ফিফটি ইয়ার্স” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়|
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পরিষদের সদস্য সালমান এফ রহমান এমপি| বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি। অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকলস। সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মোনেম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. এস. এম. মঈনউদ্দীন মোনেম, পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কমকর্তা তারেক রিয়াজ খান, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হকসহ সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকমন্ডলী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রধান অতিথি সালমান এফ রহমান বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণেই বাংলাদেশ আজ এতদূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের সেরা তিনটি সফলতার পরিমাপক হল- কৃষিতে সাফল্য, ১০০% বিদ্যুতায়ন এবং ডিজিটালাইজেশন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মহিবুল হাসান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বার বার ভোকেশনাল ট্রেনিং এবং ব্যবহারিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। একের অধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করে নিজেদেরকে প্রতিযোগিতাময় চাকরি ক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেন তিনি। অনুষ্ঠানের কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকলস বলেন, বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ দৃষ্টান্ত। যেভাবে গত ৪০ বছরে দারিদ্র্য দূরিকরণ হয়েছে, মৃত্যুহার কমেছে এবং গড় আয়ু বেড়েছে, তা একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। কিন্তু পাশাপাশি ভুলে গেলে চলবে না, এখনকার মূল চ্যালেঞ্জগুলো হলো- নারী-পুরুষের বৈষম্য, মেরুকরণ এবং তরুণদের নিজেদেরকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ও বহির্ভূত ভাবার প্রবণতা। অতীতে কানাডা সব সময়েই বাংলাদেশের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। এবং ভবিষ্যতেও যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পাশে থাকবে কানাডা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শুরু থেকেই কানাডিয় হাইকমিশনের সহায়তায় শিক্ষা, গবেষণা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং এ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকবে। আমরা গর্বিত যে, কানাডার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নিয়োগ লাভের পর প্রথম জনসম্মুখে বক্তৃতা দিয়েছেন আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আশা করছি কানাডা এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার সুত্র ধরে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।