পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
আমেরিকা ও বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি নিজের দল রিপাবলিকান পার্টি, আমেরিকা এবং বিশ্বে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব ঘোষণা দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেগুলো যদি তিনি বাস্তবায়ন করেন, তাহলে কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশ্বের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটতে পারে। তার প্রধান পাঁচটি এখানে উল্লেখ করা হলো।
মুক্ত বাণিজ্য : নির্বাচনের আগে যেভাবে ঘোষণা দিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি সেভাবেই তার বাণিজ্যনীতি অনুসরণ করেন, তাহলে এখন যেভাবে আমেরিকা বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করে, তা পাল্টে যাবে। তিনি বেশ কয়েকটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। যার মধ্যে কানাডা আর মেক্সিকোর সঙ্গে মুক্তবাণিজ্যের বিষয়গুলোও রয়েছে। এমনকি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা থেকেও আমেরিকাকে প্রত্যাহারের ঘোষণা তিনি দিয়ে রেখেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তন : ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিটি বাতিল করবেন। এমনকি জাতিসংঘের জলবায়ু তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের সব অনুদান দেয়াও বন্ধ করবেন। কোনো একক দেশ এই চুক্তিটি হয়তো বাতিল করতে পারে না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজেদের সরিয়ে নেয়, তাহলে তা প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন অসম্ভব করে তুলবে।
সীমান্ত বন্ধ : মেক্সিকোর সঙ্গে একটি সীমান্ত দেয়াল তুলে দেয়া এবং আমেরিকা থেকে এক কোটি ১০ লাখের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে বের করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তিনি পরে বলেছেন, আগে লাখ লাখ অপরাধীকে বের করে দেয়া হবে। পরে অন্যদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কয়েকটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ নিষিদ্ধেরও তিনি পক্ষে। যদিও নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেয়া এসব ঘোষণা যদি তিনি বাস্তবায়ন করতেও চান, তা তার জন্য কঠিন হবে।
ন্যাটো : নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটোর সমালোচনা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এটি এখন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ন্যাটোর সহযোগী দেশগুলো থেকে ন্যাটোতে যে অর্থ আসার কথা, সেটি আসছে না। বরং তারা আমেরিকার সামরিক সুবিধা ভোগ করছে। তাই তাদের উপযুক্ত অর্থ ন্যাটোতে দিতে হবে, না হলে আমেরিকান সেনা সরিয়ে নেয়া উচিত বলেও তিনি মনে করেন। কিন্তু সেটি করা হলে আমেরিকার ৬০ বছরের দীর্ঘ এই সামরিক জোটে বড় পরিবর্তন আসবে।
রাশিয়া : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের প্রশংসা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরো সহজ করতে পারবেন বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশের অবস্থান কী হবে, তা পরিষ্কার করেননি। কিন্তু তার কথা পরিষ্কার, রাশিয়া যদি যুক্তিসঙ্গত আচরণ করে, তাহলে তার ভূমিকা বারাক ওবামা বা হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে ভালো হবে। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।