পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষিতে বৈচিত্র্যপূর্ণ ও জলবায়ু স্মার্ট বিনিয়োগ আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। দেশের মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা বিধানে সরকার বদ্ধ পরিকর। এরই মধ্যে পুষ্টি পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে জাতিসংঘের এফএও-এর খসড়া তৃতীয় দেশ বিনিয়োগ পরিকল্পনা (সিআইপি-৩) ও মিটিং দ্য আন্ডারনিউট্রিশন প্রকল্পের ফলাফল প্রকাশ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, মি. চার্লস হোয়াইটলি, রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি মি. রবার্ট ডি. সিম্পসন, শেরে বাংলা কৃষি বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া। কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় বাংলাদেশ তৃতীয় রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা-টেকসই, পুষ্টি সংবেদনশীল ও স্থিতিস্থাপক খাদ্য ব্যবস্থা (সিআইপি ৩, ২০২১-২০২৫) খসড়া সংস্করণ উন্মোচন করা হয়। খসড়াটি জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি (এনএফএনএসপি) ২০২০ এর কর্ম পরিকল্পনার (২০২০-২০৩০) ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়েছে। যা পরে জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা নীতি ২০২০ এর আগামী দশ-বার্ষিক (২০২১-২০৩০) কর্মপরিকল্পনা ও এ সংক্রান্ত নীতিগুলোর বাস্তবায়ন ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে সিএইপি-৩, জাতীয় নীতিগত কাঠামো, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আঞ্চলিক, স্থানীয় এবং সেক্টরাল বিনিয়োগ পরিকল্পনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রোগ্রামগুলোর অগ্রগতি নির্দেশনা ও তা পর্যবেক্ষণ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। একই সঙ্গে কর্মশালায় জাতীয় খাদ্য-ভিত্তিক খাদ্যগ্রহণ নির্দেশিকা ২০২০’ এর মোড়ক উন্মোচনের সঙ্গে নিউট্রিশন চ্যালেঞ্জ ব্যাজ ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মটি উদ্বোধন করা হয়। জাতীয় খাদ্য-ভিত্তিক খাদ্যগ্রহণ নির্দেশিকা ২০২০’ স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, খাদ্য-সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি কমাতে ও পুষ্টি সচেতনতা উন্নত করতে খাদ্য এবং খাদ্যাভ্যাসের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। জাতীয় খাদ্যগ্রহণ নির্দেশিকা ২০১৫ সংশোধন করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের সুপারিশমালার ভিত্তিতে পরে এএফএও ও এফপিএমইউ যৌথভাবে খাদ্য-ভিত্তিক নির্দেশিকাগুলো তৈরি করে। বাংলাদেশে এফএও -এর প্রতিনিধি মি. রবার্ট ডি. সিম্পসন বলেন, অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত এফএও-এর ‘মিটিং দ্য আন্ডারনিউট্রিশন’ প্রকল্পটি। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) উপাচার্য ড. মো. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া এফএও- এর সহায়তায় মিটিং দ্য আন্ডারনিউট্রিশন প্রকল্পের অধীনে, এফপিএমইউ- এর নীতিগত উদ্যোগের প্রশংসা করেন। কর্মশালায় খাদ্য সচিব ড. নাজমানারা বলেন, এফএও তাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে ও বিশেষ করে ইউএসএআইডি এবং ইইউ দ্বারা সমর্থিত মিটিং দ্য আন্ডারনিউট্রিশন প্রকল্পে বিগত ছয় বছরে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নীতিগত ফলাফল এসেছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের (এফপিএমইউ) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শহীদুজ্জামান ফারুকী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।