পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে প্রায় দুই হাজার ৬০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। সাড়ে চার গুণ বেড়েছে।
বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই করোনাকালে আমাদের মাথাপিছু আয় আশেপাশের দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে (যেটা ২০০৮ সালের ৬০০ ডলার ছিল) প্রায় দুই হাজার ৬০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। সাড়ে চার গুণ বেড়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় ২৬০০ উন্নীত হলো, বাংলাদেশে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের মাথাপিছু আয় পাঁচ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের মাথাপিছু আয় পাঁচ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে যেখানে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের পৃথিবীতে মাত্র ২০টি দেশে ইতিবাচক জিডিপি গ্রোথ হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশে পজিটিভ জিডিপি গ্রোথ রেট হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তিন নাম্বারে। উপরে মাত্র দুটি দেশ, একটি হচ্ছে সাউথ সুদান আরেকটি গায়ানা। সেই দেশগুলো ছোট অর্থনীতির দেশ। ছোট জনসংখ্যার দেশ। সেই বিচারে বাংলাদেশের জিডিপি গ্রোথ পৃথিবীতে সবার উপরে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৯ সালের শুরুর তুলনায়, ২০০৮ সালের শেষের তুলনায় বাংলাদেশের নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তিন গুণ বেড়েছে। অন্যান্য আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে আড়াই থেকে তিন গুণ বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। সেই চলচ্চিত্রশিল্প জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুধু আগের স্বর্ণালী দিন শুধু ফিরে পাবে। চলচ্চিত্র শিল্প জাতির তাত্ত্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, জাতির পিতার আহ্বানে অনেক কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল। স্বাধীনতার পর যেগুলো দেশ গঠনের নতুন দেশের তরুণদের সংগঠিত করে দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে। এ ধরনের চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে এবং আমাদের চলচ্চিত্র আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রশিল্পের যাত্রা শুরু হওয়ার পর যুগ যুগ ধরে ভূমিকা রেখে চলেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্যমন্ত্রী চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এবার মোট ২৭টি বিভাগে ২৯ জনকে সিনেমায় রাষ্ট্রের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আনোয়ারা বেগম ও রাইসুল ইসলাম আসাদকে যুগ্মভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০-এর আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। আনোয়ারা বেগম অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে মেয়ে মুক্তি পুরস্কার নেন। পুরস্কার দেওয়ার আগে তাদের নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে তথ্যসচিব মকবুল হোসেন এবং জাতীয় সংসদের তথ্যবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।