Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এফটিএ স্বাক্ষর করলে শ্রীলঙ্কাকে কম দামে পণ্য দেবে বাংলাদেশ : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষরিত হলে দেশটিতে বাংলাদেশ তৈরী পোশাক, ওষুধ, সিমেন্ট, পেপারসহ বিভিন্ন পণ্য কম দামে রফতানি করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
গতকাল শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় হোটেল সিন্ডমোন লেকসাইডে ‘বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন’-এর (জেএসি) ৫ম সভায় এ কথা বলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী রিশাদ বাথিউদ্দিনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের পণ্য আমদানি করা হলে শ্রীলঙ্কার জন্যও তা লাভজনক হবে। কারণ, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম দামে বাংলাদেশ এসব পণ্য শ্রীলঙ্কায় রফতানি করতে সক্ষম। বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। তাই দুই দেশের বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্যই শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষর হওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুসারে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে। তাই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করতেই পারে। এতে করে দু’দেশের বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পাবে এবং উভয়েই এতে লাভবান হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আগামী ২০২১ সালে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের রফতানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন রফতানি বাজার সৃষ্টির জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। রফতানি বৃদ্ধির জন্য আইটি, ওষুধ, ফার্নিচার, জাহাজ নির্মাণ ও কৃষিজাত পণ্যের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।
‘অনেক পণ্য রফতানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের রফতানি বাড়ছে। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত হওয়ায় বেশিরভাগ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে। শ্রীলঙ্কাও এ সুবিধা দিলে দুই দেশের বাণিজ্য বাড়বে এবং উভয় দেশ উপকৃত হবে।’
পরে শ্রীলঙ্কার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী রিশাদ বাথিউদ্দিন এবং অর্থমন্ত্রী রাভি কারুনানায়কের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন তোফায়েল আহমেদ। বৈঠকেও বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার এফটিএ স্বাক্ষর এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠক সূত্র জানায়, শ্রীলঙ্কাও বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে এফটিএ স্বাক্ষর করবে দেশটি। এর ফলে শ্রীলঙ্কার বাজারে বাংলাদেশের অনেক পণ্যের রফতানি বহু গুণ বৃদ্ধি পাবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রায় ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাণিজ্য হচ্ছে। গত ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা থেকে আমদানি করেছে ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং একই সময়ে রফতানি করেছে ৩০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
বাংলাদেশের ঘাটতি বাণিজ্য ১৪ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বাণিজ্য খুবই সামান্য। শ্রীলঙ্কার বাজারে তৈরী পোশাক, ওষুধ, সিমেন্ট, কাগজ, বৈদ্যুতিক সামগ্রী, পাটজাত পণ্যসহ বেশ কিছু বাংলাদেশী পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শ্রীলঙ্কার বাজারে শুল্কমুক্তসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সুবিধা প্রদান করা হলে রফতানি অনেক বাড়বে এবং বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে আসবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এফটিএ স্বাক্ষর করলে শ্রীলঙ্কাকে কম দামে পণ্য দেবে বাংলাদেশ : বাণিজ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ