পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর মো. সাব্বির হোসেন ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে মাদক মামলায় জেল খেটেছেন। জেল থেকে বেরিয়ে এসে অফিসে অসুস্থতা দেখিয়ে ছুটির আবেদন করেন সাব্বির। বিশেষ অসুস্থতার লক্ষণ না পেয়ে তার ছুটির আবেদন নামঞ্জুর করেন দফতর। সাব্বির আলমের মামলার ও দফতরে তার আবেদনের একটি কপি আসে ইনকিলাবের হাতে।
সেখানে দেখা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় রাজধানীর কাটাবন এলাকা থেকে পুলিশের হাতে মোটরসাইকেলসহ ৯০ পিস ইয়াবাসহ ধরা পড়ে মো. আসলাম উদ্দিন রাজু ও মো. সাব্বির আলম। রাজু গাউসুল আজম মার্কেটের মামা হোটেলের সত্ত্বাধিকারী এবং সাব্বির হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। তাদেরকে আটক করে সে রাতেই তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন নিউ মার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন। মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হলে একদিন পর জামিন পায় রাজু ও সাব্বির।
জেলে থাকায় সাব্বির ২৭ তারিখ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস করতে পারেনি। ২৮ ফেব্রুয়ারি জেল থেকে বেরিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতর বরাবর মেডিকেল ছুটির আবেদন করে। সাথে একটি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি চিকিৎসাপত্র সংযুক্ত করে। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আমি ২৪ ফেব্রুয়ারি অফিস শেষে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জস্থত আমার শ্বশুড়বাড়ি যাই। ২৬ তারিখে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক হয়ে আমার নিজ বাসায় আসার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হই এবং সেখানে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিটকে পড়ে গিয়ে ভেঙ্গে যায়। আমাকে নিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি আমার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এবং ডাক্তারের কাছে ব্যস্ত থাকায় আমি অফিসে জানাতে ব্যর্থ হই। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আমাকে পূর্ণ ১৫ (পনের) দিনের বিশ্রাম নিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী আমাকে ২৭ ফেব্রুয়ারি হইতে আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত মেডিকেল ছুটির আবেদন করছি।
তবে তার অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন, সাব্বিরের আবেদনের সাথে তার শারিরীক অবস্থার কোন মিল না থাকায় তার আবেদন গ্রহণ করেনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতর।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে তার বিরুদ্ধে মামলা থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখনও তিনি সাব্বিরের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার কথা জানতেন না বলে জানান। পরে মামলার বিষয়ে খোঁজ নিলে তারা মামলার সত্যতা পায়।
এ বিষয়ে মাদক মামলার আসামী সাব্বির আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে তিনি পুলিশের কাছে আটক হওয়া কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে তার কোন মন্তব্য আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কোন মন্তব্য নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যা চায় সে সিদ্ধান্ত নিবে আমার কোন মন্তব্য নেই।
এই দফতরের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, এই বিষয়ে একটি মিটিং করা হবে। এবং সেখানে একটা সিদ্ধান্ত হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমি বিষয়টা জানি না। কেউ যদি এরকম কাজ করে থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে। কি শাস্তি হবে সেটা এখনই বলতে পারছি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।