Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অটোমেশনে বিএসটিআই

প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মান সনদ নিতে মানুষের সময় ও অর্থ বাঁচবে আজ উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : স্বয়ংক্রিয় (অটোমেশন) মান সনদ সেবা চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে থাকা ১৬ হাজার লাইসেন্সধারী স্বয়ংক্রিয় সেবার আওতায় আসছে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আজ রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করবেন।
বিশ্বব্যাংক পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) অর্থায়নে সার্টিফিকেশন মার্কস্ বা সিএম অটোমেশন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, আইএফসি বিএসটিআইয়ের স্বয়ংক্রিয় সেবা চালু করতে ১ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার সহায়তা করছে। বিএসটিআইয়ের সার্টিফিকেশন মার্কস (সিএম) লাইসেন্স সিস্টেম চালু করতে ৯৫ হাজার মার্কিন ডলার, ওয়েবসাইট আপডেট ও ডিজিটাল করতে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ও স্বয়ংক্রিয় সেবা দিতে দক্ষতা বাড়াতে ২০ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে। সিনেসিস আইটি এই সেবাটির কারিগরি দিক সহায়তা করছে। ইতোমধ্যে তারা অধিকাংশ কাজ এগিয়ে নিয়ে গেছে। তবে এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লোকবলকে প্রশিক্ষণ করতে হবে।
বিএসটিআইর মহাপরিচালক ইকরামুল হক বলেন, গ্রাহকদের দোড় গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইএফসির অর্থায়নে স্বয়ংক্রিয় সেবা চালু করা হচ্ছে। এটি চালু করা গেলে কাজের মানুষের সময়, অর্থ ও যাতায়াত অনেক কমে আসবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই সেবা চালু করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক ১৫৫টি পণ্যের বিপরীতে দেশব্যাপী ১৬ হাজার সিএম লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এসব সেবাগ্রহণকারীরা লাইসেন্স গ্রহণ কিংবা নবায়ন করতে আবেদনপত্র জমা, ফিল্ট ভিসিট, নমুনা জমা ও লাইসেন্স গ্রহণ করতে বিএসটিআইতে চার -পাঁচবার আসতে হতো। কিন্তু এ সেবা চালু হলে শুধুমাত্র নমুনা জমা দেয়ার জন্যই কেবল লাইসেন্সধারীদের বিএসটিআইয়ের কার্যালয়ে আসতে হবে। এতে সময় ও অর্থ যেমন সাশ্রয়ী হবে, তেমননি দূর-দূরান্ত থেকে বিএসটিআইয়ের কার্যালয়ে আসার ভোগান্তি থাকবে না।
বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, স্বয়ংক্রিয় সেবা চালু হলে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা থাকবে। একজন লাইসেন্সধারী বা আবেদনকারী ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র বা নিজের মোবাইল ফোন থেকে পেমেন্ট করতে পারবেন। আবেদন করার পর ফিল্ড ভিজিটের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নাম ও কবে ভিজিট করবেন সেই তারিখ বলে দেবে। পণ্য অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে আবেদনপত্রের কপি চলে যাবে। তিনি তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে তা সম্পন্ন করবেন। বর্তমানে লাইসেন্স নতুন কিংবা নবায়ন করতে ফাইল নিজ থেকে ধাপে ধাপে ওপরে ওঠতো। আবার ওপর থেকে ধাপে ধাপে নিচে নামতো। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ফাইল চালাচালি হবে সম্পূর্ণ কম্পিউটারের মাধ্যমে। কোনো কাগজের ব্যবহার থাকবে না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, লাইসেন্স নতুন প্রদান ও নবায়নের ক্ষেত্রে সময় কমে যাওয়ার কারণে বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা তখন সার্ভিলেন্স টিম কার্যক্রম জোরদার ছাড়াও ভেজালবিরোধী অভিযানে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। এ ছাড়া সার্ভিলেন্স টিম ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের যাবতীয় তথ্য অনলাইনে পাওয়া যাবে। একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার পণ্যের লেভেল বা মোড়ক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিএসটিআইতে পাঠাতে পারবেন। এতে কোনো ভুল ত্রুটি থাকলে তা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে তা পাঠানো হবে। যা বর্তমানে নেই। বর্তমানে লেভেল বা মোড়ক দেখাতে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্ধারিত কর্মকর্তার কাছে আসতে হবে। ওই কর্মকর্তা অফিসে না থাকলে বা ছুটিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আবার সময় করে আসতে হতো। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এই ভোগান্তি থাকবে না।
বিএসটিআইয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, খুব শিগগিরই স্বয়ংক্রিয় সেবা সারা দেশে চালু হবে। এটা না হওয়া পর্যন্ত ভোগান্তি থেকেই যাবে। বিএসটিআইয়ের স্বয়ংক্রিয় সেবা চালুর বিষয়টিকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন দেশের উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বলছেন, বাধ্যতামূলক পণ্যের লাইসেন্স হাতের মুঠোয় পাওয়া গেলে যারা বিগত সময়ে ভোগান্তির কথা চিন্তা করে লাইসেন্স গ্রহণ থেকে বিরত ছিলেন তারাও এগিয়ে আসবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অটোমেশনে বিএসটিআই

১০ নভেম্বর, ২০১৬
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ