Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বদলে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি

দেশজুড়ে সুষম উন্নয়নের পথ খুলে দিয়েছে : মো. জসিম উদ্দিন বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে : মো. সিদ্দিকুর রহমান বিদেশি বিনিয়োগও আসছে : আমিন-উল-আহসান কুয়াকাটা হবে পর্যটনকেন্দ্রিক বড় জোন

হাসান সোহেল/মো. জাহিদুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২২, ১২:০৪ এএম

দেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালী। এক সময় এ জেলার অর্থনীতি কৃষি ও মৎস্যনির্ভর হলেও এখন দিন বদলেছে। বহুমুখী উন্নয়নে জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন আসবে। আর এতে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলবে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং পায়রা সেতুর মতো মেগা সব প্রকল্পগুলো। গত এক দশকে তিনটি বৃহৎ উন্নয়ন কর্মকান্ড পুরো জেলার চিত্র পাল্টে দিয়েছে। অথচ পটুয়াখালী জেলার নাম শুনলেই এক সময় ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কথা মনে পড়ত। তবে সেই পরিস্থিতির এখন আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। পটুয়াখালীর নাম শুনলেই সবার কাছে এখন পায়রা সমুদ্রবন্দর, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কিংবা দৃষ্টিনন্দন পায়রা (লেবুখালী) সেতুর দৃশ্য ফুটে উঠে।

দেশের সর্ববৃহৎ পায়রা তাপ বিদ্যুকেন্দ্রসহ সরকারের নেয়া একাধিক মেগা প্রকল্পের উন্নয়নের সাথে আগামী জুনে স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হবে। তখন যোগাযোগে বিপ্লব ঘটবে ঢাকা টু পটুয়াখালীর যোগাযোগ। একদিকে দক্ষিণাঞ্চলের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বরিশাল বিভাগের ব্যাপক উন্নয়ন, অন্যদিকে সারা দেশের সঙ্গে ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা চালু হবে সাগরকন্যা কুয়াকাটার সঙ্গে। কর্মচঞ্চল্য হবে গোটা বরিশাল বিভাগের প্রত্যন্ত এলাকা। পরিবর্তন আসবে কৃষিসহ নানান পেশায়।

জানতে চাইলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে প্রান্তিক অঞ্চলের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিকশিত হচ্ছে। জুনে পদ্মা সেতু চালু হবে। আর এটা হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের যোগাযোগব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আসবে। পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলে নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব এলাকায় নতুন নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বিদ্যুতায়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্পসহ সব খাতে বিপুল পরিবর্তন আসবে। এসবের মাধ্যমে বদলে যাবে অনগ্রসর এলাকার মানুষের জীবনযাত্রাও। একইসঙ্গে এ উদ্যোগ দেশজুড়ে সুষম উন্নয়নের পথ খুলে দিয়েছে।

সূত্রমতে, পটুয়াখালীর পায়রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করে শতভাগ বিদ্যুৎ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। এর মাধ্যমে শতভাগ বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বিশ্বের ১৩তম আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশে পরিণত হল ৫০ বছর বয়সি বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে কম জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ যেমন বেশি পাওয়া যাবে, পাশাপাশি পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখাও সম্ভব হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সময়ে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলবাসীর জন্য হঠাৎ করে সবকিছু যেন স্বপ্নের মতো। এখনো শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রয়োজন জ্বালানি। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। অর্থাৎ শিল্পায়নের আগেই বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। বর্তমান সরকারের হাতে নেয়া বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখে এরই মধ্যে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শত শত একর জমি ক্রয় করেছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাটারিচালিত গাড়ি, বিদ্যুৎ সহজলভ্য হওয়ায় ওই অঞ্চলের পর্যটন খাতও ব্যাপক বিস্তৃত হচ্ছে। এসব শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পায়রা বন্দর, পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন, দৃষ্টিনন্দন ফোর লেনের পায়রা সেতুর পাশাপাশি শেরে বাংলা নৌ-ঘাঁটি ও ইপিজেড স্থাপিত হলে পুরো দক্ষিণাঞ্চল পরিণত হবে অর্থনৈতিক জোনে। পায়রা সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা এবং বøু-ইকোনমি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য কলাপাড়ার লালুয়ায় শেরে বাংলা নৌ-ঘাঁটি স্থাপনে কাজ শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে একসময়ের অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের মহাসড়কে বাকি রইল শুধু রেলপথ ও গ্যাস। যদিও দক্ষিণাঞ্চলবাসী আশাবাদী দ্রুতই রেল ও গ্যাসের ব্যবস্থাও হবে। কারণ এসব মেগা প্রকল্পের নামকরণ এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকারে রয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পের তিনি নিজে যেমন ভিত্তিপ্রস্তর করেছেন, ঠিক তেমনি এগুলোর উদ্বোধনও করছেন নিজ হাতে।

সূত্রমতে, গত বছরের ২৪ অক্টোবর বরিশাল-পটুয়াখালী ও কুয়াকাটা মহাসড়কে লেবুখালীর পায়রা নদীর ওপর দৃষ্টিনন্দন ফোর লেন পায়রা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পায়রা সেতু চালুর ফলে মাওয়া থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ফেরিবিহীন যোগাযোগ শুরু হয়েছে। লেবুখালীর পায়রা সেতুর উত্তরপ্রান্তে স্থাপিত হয়েছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস। দক্ষিণপ্রান্তে দুমকীতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। মহাসড়কের পাশে রয়েছে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। পায়রা সেতু থেকে মহাসড়কের আশপাশের এলাকায় শিল্প-কলকারখানা স্থাপনে জমি কেনার হিড়িক চলছে দেশের বড় বড় শিল্পমালিকদের। শহরের পাশেই স্থাপিত হয়েছে কোস্টগার্ড সিজি বেইজ অগ্রযাত্রা ঘাঁটি।

পটুয়াখালী-কলাপাড়া মহাসড়ক থেকে পায়রাবন্দর পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার ফোর লেন সড়ক নির্মাণ, মহাসড়ক থেকে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত ছয় লেন মহাসড়কের কাজ এগিয়ে চলছে দ্রæতগতিতে। পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকায় ইপিজেড স্থাপনে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ‚মি জরিপ করে অধিগ্রহণের জন্য ৪ ধারায় নোটিশ দেয়া হয়েছে জমির মালিকদের। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কের দুইপাশে জমি ক্রয়ের পর সাইনবোর্ড বসিয়েছে বেশ কিছু কোম্পানি।

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইপিজেড স্থাপনের জন্য পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পচাকোড়ালিয়া মৌজায় ৪১০ দশমিক ৭৮ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ৪ ধারায় নোটিশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের ক্লাবের (ইনভেস্টর ক্লাব) জন্য কুয়াকাটা মৌজায় ২ দশমিক ২৫ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পায়রা সেতু থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কের আশপাশে দেশের ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা জমি কিনতে শুরু করেছেন। মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে অটোরাইস মিল। এরই মধ্যে জমি ক্রয় করেছেন বহু শিল্পমালিক। পায়রাবন্দর এলাকার আশপাশে জমি ক্রয় করেছে মদিনা গ্রæপ ও এমএম বিল্ডার্স নামের প্রতিষ্ঠান। সাগরকন্যা কুয়াকাটায় এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে শতাধিক হোটেল-মোটেল। পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার খাজুরা, গঙ্গামতী, কাউয়ার চর ও এর আশপাশে জমি ক্রয় করেছেন সিকদার গ্রুপ, ইউএস বাংলা, সেঞ্চুরি, বসুধা, ওয়েস্টার্নসহ কমপক্ষে ১৫টি ভারি শিল্পমালিক। এসব স্থানে কোম্পানিগুলো নির্মাণ করবে, বিভিন্ন ধরনের শিল্প-কলকারখানা ও বহুতল ভবন। কুয়াকাটায় নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে ১৭ তলা ভবনের ওয়াচ টাওয়ার। মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় হবে আধুনিক পর্যটন এলাকা কুয়াকাটা। থাকবে এয়ারপোর্ট, স্টেডিয়ামসহ বহু স্থাপনা।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সেতুর পর এখন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার অপেক্ষায়। পদ্মা সেতু চালু হলে সারা দেশের পর্যটকরা পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পৌঁছতে পারবেন। ফলে মানুষ ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে কক্সবাজার না গিয়ে স্বল্প সময়ে কুয়াকাটায় আসতে উৎসাহিত হবেন। পর্যটন এলাকায় বিনিয়োগকারীরা তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন। ফলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি হবে, তেমনি অন্যদিকে ব্যবসার প্রসার ঘটবে। সবমিলিয়ে দক্ষিণাঞ্চল হবে পর্যটনকেন্দ্রিক বড় জোন।

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের পায়রা থেকে কুয়াকাটার বিস্তৃত এলাকা ঘিরে পর্যটনভিত্তিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান করতে যাচ্ছে সরকার। যার মনিটরিং করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। মাস্টারপ্ল্যানে থাকছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আধুনিক পর্যটন স্থাপনা, শিল্পভিত্তিক বন্দরনগরী, পরিকল্পিত নগরায়ন, যোগাযোগ, অর্থনীতি ও কৃষি খাতে উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগঝুঁকিসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাভিত্তিক কার্যক্রম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ বছরের মহাপরিকল্পনা নিয়ে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। যে সাত উপজেলা নিয়ে নগর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার সেসব উপজেলাগুলো হলো- পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, গলাচিপা, কলাপাড়া এবং বরগুনা সদর, তালতলী, আমতলী ও পাথরঘাটা।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন-উল-আহসান বলেন, এ প্রকল্পকে ঘিরে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড নানাভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশেই পায়রা বন্দরটি গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি এ অঞ্চলে আরো অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এসব প্রকল্প ঘিরে মানুষের ব্যস্ততা বেড়েছে। বিশেষ করে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বন্দরকে কেন্দ্র করে মানুষের জীবনমানের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। সামনে আরও পরিবর্তন আসবে। এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্প এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অঞ্চলে ব্যক্তি উদ্যোগকে কেন্দ্র করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। একইসঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও আসছে।

বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই’র সাবেক সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, এটা একটা মাইলফলক। যেটা প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন এই মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়া, সেই জায়গায় এই প্ল্যান্টটা যোগ হওয়ায় তা অনেকদূর এগিয়ে গেল। পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পায়ন হওয়ার ক্ষেত্রে যে বাধা সেই বাধা অনেকটা কেটে গেল। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে এখন অনেক বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। মংলা বন্দরকে ব্যবহার করার পাশাপাশি আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে বহুমুখী যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি হবে। সামনে দক্ষিণাঞ্চলের জন্য অত্যন্ত সুদিন বলে উল্লেখ করেন তিনি। আগামীতে মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ার পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের ছোট-বড় শিল্প গড়ে উঠবে। এর মাধ্যমে এ এলাকায় বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপ্লব হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) আওতায় নির্মিত পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দক্ষিণাঞ্চলে সরকারের যে বিদ্যুৎ হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল, তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে একই সক্ষমতার আরো একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রও বাংলাদেশ ও চীন নির্মাণ করছে। যার কাজ এরই মধ্যে ২৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি ৬০০ মেগাওয়াটের একটি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২২ মার্চ, ২০২২, ২:২৪ এএম says : 0
    দেশের অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে। আপনাদের সচিত্র প্রতি বেদন। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বিশালাকার কর্মযজ্ঞ মেগা প্রকল্প দেশি বিদেশী বিনিয়োগ। বিষ্ময়কর অবিশ্বাস্য উন্নতির মধ্যে বাংলাদেশ। নেতৃত্ব ভীষণ পরিকল্পনা মহাপরিকল্পনার ফসল আজকের বাংলাদেশ। শক্তিশালী আত্মমর্যাদাশীল এই দেশের প্রতিষ্টাতা দেশের নির্বাহী প্রধানের দিনরাত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশের আজকের অবস্থানে। ঠিক বিপরীতে দেশের ডিজিটাল উন্নতির সুযোগে বিদেশনির্ভর বিদেশের মাঠিতে কি পরিমাণ মিথ্যাচার কাল্পনিক কল্পকাহিনী বানিয়ে রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধানের বিরুদ্ধে প্রকাশ‍্যে ইউটিউবে অনুষ্ঠান সাজিয়ে বলছেন প্রতিদিন। ভয়ংকর ভয়ানক মিথ্যাচার কখনো সাংবাদিকতার মধ্যে পড়ে? পৃথিবীর কোন জাতির মানুষনিজ দেশের বিরুদ্ধে অপবাদ মিথ্যাচার জঘন্যতম গালগল্প রাষ্ট্রদ্রোহিতার মত অপরাধ করতে পারেন? সরকার রাষ্ট্রের গায়ের চামড়া মোটা গন্ডালের মত হয়ে গেল কেন? হজম পর হজম করেই যাচ্ছে বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের তৃণমূল থেকে শহরেদেশে বিদেশে লক্ষ কোটি নেতা কর্মি দু কলম লিখে প্রতিবাদমুখর হচ্ছে না কেন? সমগ্র পৃথিবীর মহামারীতে আক্রান্ত ছিল কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত মৃত্যু অদ‍্যকোটির উপরে ভয়ানক চিত্রের মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশের অর্থনীতি মানবিক সাহায্য লক্ষকোটি প্রনোদনা কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কে সঠিক পথে পরিচালনা করেছেন রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান। শক্তিশালী দেশ হোক দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হোক বাংলাদেশের এই অবিশ্বাস্য উন্নয়ন অগ্রগতি যাদের যন্ত্রণা দেয় ইর্ষান্বিত হয় এই মানুষ গুলো দেশের চরমশক্র। রাষ্ট্র কি দূর্বৃত্তায়নকে সমর্থন করবে? রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী কে নির্মমভাবে টার্গেট করেই দেশের বাহিরে গেলেই ভয়ংকর কল্পকাহিনী জঘন্যতম মিথ্যাচার হচ্ছে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত গোয়েন্দা বাহিনীর নিকট এই হিংসাত্মক ভয়ানক মানুষ গুলোর ব‍্যবস্থা নাই কেন?এদের সরকারের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনা জরুরী জরুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে সম্পুন‍্য ফ্রি ষ্টাইলে ইউটিউবের মিথ্যাচারের ইন্ডাস্ট্রিতেই। আমাদের ক্ষুদ্র কলমের মতামতের গুরুত্ব কোথায়? দেশের হয়ে কলম লিখার পবিত্র দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে হাজারো বার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পত্রিকা ইনকিলাবের মতামত দিচ্ছি। আজকের সুন্দর শিরোনাম বদলেযাবে দেশের দক্ষিণাঅঞ্চলের অর্থনীতি। বাংলাদেশের ভীষণ৪১ বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার লিডারশিপে মধ্যেই থাকে বাংলাদেশ হবে অর্থনৈতিক পরাশক্তি।আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র দেশীয় ষড়যন্ত্র উন্নয়ন অগ্রগতির শক্রদের ষড়যন্ত্র প্রতিযোগিতা মুলক বিশ্বের মাঝে সমস্ত ষড়যন্ত্রের ঝাল চিন্ন বিন্ন হয়ে যাবে বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার উন্নয়নের জোয়ারে বাংলাদেশ কাক্ষিথ লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে বহুদুরে। ইনশাআল্লাহ। চলবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mh Shohagh ২২ মার্চ, ২০২২, ৭:০৩ এএম says : 0
    ধন্যবাদ। এভাবেই এগিয়ে যাবে আমার সোনার বাংলা।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Halim Chowdhury ২২ মার্চ, ২০২২, ৭:০৩ এএম says : 0
    আমার এত জানার দরকার নাই, আমি শুধু নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাই।এত বিদ্যুৎ উতপাদনের পরেও লোড শেডিং কেন?
    Total Reply(0) Reply
  • MD FOKHRUL ISLAM ২২ মার্চ, ২০২২, ৬:৫৮ এএম says : 0
    প্রশংসার বিষয় এই প্রকল্পের সঠিক সময় ও সাশ্রয়ী খরচে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়। যা বাংলাদেশের কোন প্রকল্প দ্রুত শেষ হওয়ার রেকর্ড।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahin Islam Parvez ২২ মার্চ, ২০২২, ৬:৫৯ এএম says : 0
    আমারা কোন দল বা ব্যক্তিকে পছন্দ নাও করতে পারি। কিন্তু ভালো কাজকে সমর্থন করতে সমস্যা কি? আসলে ভালো কাজকে সমর্থন করতে হলে নিজেকেও ভালো মানুষ হতে হবে। সবসময় সবকিছুতেই সমালোচনা করতে হবে, সবকিছুতো দোষ খুঁজতে হবে এটা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কোন ভালো কাজই কখনো বিফলে যায় না।আজ অথবা কাল তার মূল্যায়ন হবেই। যার দ্বারা এই উন্নয়ন আজকে আমরা বেঈমানরা তাকে মর্যাদা বা মুল্যায়ন না করলেও প্রকৃতির নিয়মেই একদিন তার মুল্যায়ন হবেই।প্রকৃতি নোংরামি, স্বার্থপরতা,ও বেইমানি করে না।ইতিহাস কখনো মিথ্যা শাখ্য দেয় না।ইতিহাসে তার নাম স্বর্নাখরে লেখা থাকবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Kingshuk Sarkar ২২ মার্চ, ২০২২, ৭:০০ এএম says : 0
    বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বেশি যে খাতকে উন্নয়ন করেছে তা হলো বিদ্যুৎ খাত।এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে অসংখ্য ধন্যবাদ। গত ১০ বছরে এ খাতের চেহারার তিনি বদলে দিয়েছেন তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে। কী গ্রাম কী শহর সবখানেই এখন বিদ্যুৎ।এটা চিন্তা করলেই আবাক হই,
    Total Reply(0) Reply
  • Anisur Rahman ২২ মার্চ, ২০২২, ৭:০০ এএম says : 0
    যেটা ভাল সেটা কে ভালই বলতে হবে সেটা শুনে কেউ যদি কষ্ট পায় তাতে কিছু করার নেই। ভাল করতে গিয়ে যদি আবার দূর্নীতির ব্যয় ভার টা জনগণের বহণ করতে হয় সেটা কখনো ভাল নয়। সেটা আওয়ামী প্রশাসন অথবা বিএনপি প্রশাসন যার দ্বারাই হোক। একটা আধুনিক কল্যাণ মূখি রাষ্ট্রের রূপ কি রকম হবে এটা প্রশাসন কে নতুন করে বুঝিয়ে দিতে হবে না। তবে এমন কিছু উন্নয়ন হয়েছে যেটা প্রশংসার দাবীদার। এটা যদি দূর্নীতি এবং সরকারী অফিসে অপচয় বন্ধ না করে জনগণের উপর ট্যাক্সের বোঝা বাড়িয়ে দেওয়া হয় সেটা কখনো সায় দিব না।
    Total Reply(0) Reply
  • Monjurul Hasan Razib ২২ মার্চ, ২০২২, ৭:০০ এএম says : 0
    কোন আগ্রহ নাই এসব জানার। চাল, ডাল, তেল, চিনি, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, গাড়ি ভাড়া ইত্যাদি কমানোর কোন খবর বা প্রক্রিয়া থাকলে দিতে পারেন। মুখস্থ করে ফেলবো।
    Total Reply(0) Reply
  • Shobnom Shireen ২২ মার্চ, ২০২২, ৭:০১ এএম says : 0
    Congratulations. Indomitable success for power and energy sector. Long live the Prime minister.
    Total Reply(0) Reply
  • Rezaul Karim ২২ মার্চ, ২০২২, ৭:০১ এএম says : 0
    আমার মনে হয় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে অন্য কোন কিছু হতে বিকল্প ভাবে হলে হত। কয়লা দাম বৃদ্ধি পাবে দেখা যাবে সে অযুহাতে বিদ্যুৎ এর দাম বাডাতে সুবিধা হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থনীতি

৩ জানুয়ারি, ২০২৩
২১ নভেম্বর, ২০২২
১৭ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ