পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতিকে ঘৃণা এবং কুরআন-হাদীসের নির্দেশনার ভিত্তিতেই একমাত্র মুসলিম উম্মাহর ঐক্য সম্ভব। গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর বংশালে অবস্থিত বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস-এর কেন্দ্রীয় মাসজিদ বংশাল বড় জামে মসজিদে আয়োজিত ‘দেশ জাতি ও সামাজিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আলেম সমাজের ঐক্যের অপরিহার্যতা’ শীর্ষক দু দিনের ওলামা সমাবেশে বক্তাদের আলোচনায় বিষয়টি উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ফারুকের সভাপতিত্বে ওলামা সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস-এর অন্যতম উপদেষ্টা আলহাজ্জ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। সমাবেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন আলহাজ্জ মো. আওলাদ হোসেন এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ইউনাইটেড গ্রæপের এমডি আলহাজ্জ মোঃ নবীউল্লাহ এবং বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস-এর তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিসংখ্যান বিষয়ক সেক্রেটারি আনোয়ারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর। সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের হাদীসের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ রুহুল আমীন, শায়খ নোমান আজমী, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রঈসুদ্দীন, ড. আহমদুল্লাহ ত্রিশালী, সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল উবায়দুল্লাহ গযনফর, সেক্রেটারি জেনারেল ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী, শায়খ আনাস মাদানীসহ বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সারাদেশ থেকে আগত বিভিন্ন পর্যায়ের আলেমগণ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের সহ-সভাপতি আব্দুল আউয়াল আহম্মেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন মুহাম্মদ মুফায্যল হুসাইন মাদানী।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, আমি একজন সাধারণ জনগণ হিসাবে মনে করি, মুসলিম ঐক্য প্রয়োজন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছিল বাংলাদেশ নামটি। ইতোমধ্যে বেশকিছু শাসক দেশ শাসন করেছেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের হাল ধরেছেন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটা সম্মানজনক অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছেন।
জনগণের সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সরকারের একার পক্ষে পরিপূর্ণ উন্নয়ন সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন জনগনের সহযোগিতা, বিশেষ করে আলেম সমাজের। আলেম সমাজ জনগণের মাঝে উন্নয়নে বিষয় প্রচার করলই জনগণ বুঝবে সরকারের উন্নয়নের কথা। কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে একমাত্র আলেম সমাজকেই। আর তা শুরু হোক নিজের ঘর থেকেই। তিনি ১০ লাখ আলেমের সমাবেশ ঘটিয়ে কাবা শরীফের ইমামকে আনার উদ্যোগ নেবেন বলে সমাবেশে আশ্বাস দেন।
তিনি আরো বলেন, সমতাভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব একমাত্র ইসলামী অর্থনীতির মাধ্যেমেই। তিনি সকলের সহযোগিতাই দারিদ্র এবং আলেম সমাজের কল্যাণের জন্য একটি ফান্ড গঠনের উদ্যোগের কথাও বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।